ভারি বর্ষণে সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা
প্রকাশিত : ১৫:৫০, ১২ জুলাই ২০২০
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে- সংগৃহীত
আষাঢ়ের শেষ সময়ে এসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করায় দেশের বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ায় বৃষ্টি অথবা বজ্র বৃষ্টির প্রবণতা হ্রাসও পেতে পারে।
বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, নাটোর, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার বন্যা পস্থিতির অবনতির শঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন জানান, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় রয়েছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কার রয়েছে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া মডেলের তথ্য তুলে ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের প্রদেশে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জুলাইয়ের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস প্রতিবেদনে ইতোমধ্যে জানায়, ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে আগামীকাল সোমবার কিছু কিছু স্থানে পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হতে পারে। এ সময় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, পাবনা, নওগাঁ ও নাটোর জেলার নিম্নাঞ্চললে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। পানি তিন-চার দিন বাড়তে থাকলে লালমনিরহাট, নীলফামারী ও রংপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
আজ সকালে আবহাওয়ার সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের উপর সক্রিয়, এছাড়া দেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় বিরাজ করছে।
গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বয়ে গেছে। আজ রোববার ঢাকায় সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৫টা ১৯ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিটে।
গতকাল শনিবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ১৫৩ মিলিমিটার। এ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৪ দশমিক ০ এবং সর্বনিম্ন ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ২৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এমএস/
আরও পড়ুন