ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

করোনার প্রভাবে ফুল বাণিজ্যে ধ্বস (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৯, ২০ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ১৩:০০, ২০ জুলাই ২০২০

বিশ্ব মহামারি করোনায় অর্থনীতির প্রায় সব খাতই ক্ষতিগ্রস্ত। দেশের ফুল বাণিজ্যেও পড়েছে এর প্রভাব। একপ্রকার ধ্বস নেমেছে এ বাণিজ্যে। ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে ফুল, অল্প কিছু দোকানে উঠলেও বিক্রি না হওয়ায় পচে নষ্ট হচ্ছে। ফলে এসময়ে ফুল বাণিজ্যের সাথে জড়িত প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে।  

ফ্লাওয়ার সোসাইটি ও ঢাকা ফুল ব্যাসায়ী সমিতির নেতারা বলেন, একদমই বিক্রি নেই। এ খাতকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারী সহয়তা চান তারা। 

সাভারের গোলাপ গ্রাম। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আগে চাষ হতো, গোলাপসহ নানা জাতের ফুল। এখানকার ফুল যেতো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কিন্তু করোনার এই সময়ে ফুল নষ্ট হচ্ছে গাছেই। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন পাইকারী মার্কেটে ফুল বিক্রি কমে যাওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান চাষীরা। 

রাজধানীর শাহবাগ মার্কেট। ভোর থেকেই ক্রেতার ভিড় থাকলেও এখন খুঁজে পাওয়ায় দায়। বিক্রেতারা জানান, লাভতো দূরের কথা, প্রতিদিনই লোকসান গুনতে হচ্ছে। খুচরো দোকানেরও একই অবস্থা। কাজ হারিয়েছে অনেক কর্মী।

ব্যাবসায়ী নেতারা জানান, এতো খারাপ অবস্থা কোনোদিনও দেখতে হয়নি তাদের। একই চিত্র আগারগাঁওয়ের ফুলের পাইকারী মার্কেটেও। চাহিদা না থাকায় বন্ধ বেশিরভাগ দোকান।

এদিকে করোনা ভাইরাস সংকটে পুরো দেশ স্থবির হয়ে পড়ায় ফুল চাষিরা ভরা মৌসুমে ফুল বেচতে না পেরে লোকসানের মুখে পড়েছেন। 

বাংলাদেশে ফুলের বাজার প্রায় দেড়হাজার কোটি টাকার। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ফুল এখন বিদেশেও রপ্তানি হয়। বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯'র কারণে পুরো বিশ্বই আজ কার্যত অচল।

বাংলাদেশে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল হচ্ছে ফুলের ভরা মৌসুম। বিশেষ করে বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবস, পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও বাংলা নববর্ষে ফুলের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়।

করোনার এই সময়ে পরিবহন ও দোকানপাট বন্ধ ছিল অনেকদিন। ফলে এতোদিন ফুলের বাজার বসেনি। কেনাবেচা ছিল না। এদিকে ফুল না কাটলে নতুন করে আর কুঁড়ি আসে না। তাই গোলাপ ফুল কেটে ছাগল-গরু দিয়ে খাওয়াতে হয়েছে।

অথচ, এসময়ে প্রতিদিন সূর্য ওঠার আগেই চাষি, পাইকার, মজুরের হাঁকডাকে ফুলের বাজার মুখর হয়ে উঠার কথা ছিল।

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় দুই লাখ মানুষ ফুল উৎপাদন ও বিপণন ব্যবসায় জড়িত। এ খাতে জীবিকা নির্বাহ করেছেন আরো প্রায় সাত লাখ মানুষ। দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে বাংলাদেশের ফুল রপ্তানি হচ্ছে।

ফুলচাষিরা বলেন, কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সেই চিন্তাই আমাদের মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই ক্ষতি কোন জায়গায় গিয়ে ঠেকবে সেই ভাবনায় শঙ্কিত আমরা।

 

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি