ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ সীমান্তে আটকা কয়েক হাজার ভারতীয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৩, ২৬ জুলাই ২০২০

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাগুলোতে কয়েক হাজার ভারতীয় নাগরিক আটকা পড়ে আছেন। বেনাপোল এবং বাংলাবান্ধা এই দুটি সীমান্ত অঞ্চলেই প্রায় আড়াই হাজার ভারতীয় নাগরিক আটকে আছেন। এরা মূলত পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এবং বাংলাদেশে কাজ করতেন। খবর বিবিসির

বিশেষ পারিবারিক প্রয়োজন এবং অসুস্থতার মতো কারণ ছাড়া স্থল সীমান্ত দিয়ে এখন ভারতে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। বিমানে করে বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর যে ব্যবস্থা করেছিল দিল্লি, অর্থনৈতিক কারণে এরা সেই সুযোগও নিতে পারছেন না।

কয়েকটি সূত্র বলছে, আটকে পড়া মানুষের সংখ্যাটা আরও বেশি। এরা সীমান্ত এলাকাগুলোতে কারও বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বা কোথাও স্কুল-বাড়ির বারান্দায় কোনও মতে থাকছেন। অনেক নারীও রয়েছেন এদের মধ্যে।

বেনাপোল থানার ওসি মামুন খান জানিয়েছেন, ভারতীয় ইমিগ্রেশন বিভাগ এদের গ্রহণ করছে না এখনও। নিয়মিতই এইসব আটকে পড়া মানুষ তার কাছে আসছেন বা ফোন করছেন।

নানা সূত্র থেকে জানা গেছে, ভারতের স্থল বন্দরগুলো দিয়ে এখনও নিয়মিত মানুষ চলাচল শুরু হয়নি, শুধু পণ্য আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে। তবে ভারতে যেসব বাংলাদেশি নাগরিক আটকা পড়েছিলেন তাদেরকে নিজের দেশে ফিরে যেতে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ভারতে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের দেশের নাগরিকদেরও না।

যদিও মে মাসের ২৪ তারিখে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল, বিমানে যেসব ভারতীয় নাগরিক দেশে ফিরবেন, তাদের কী প্রোটোকল মেনে চলতে হবে। ওই নির্দেশিকাতেই লেখা ছিল যে, স্থল-সীমান্ত দিয়ে যারা আসবেন, তাদেরও একই প্রোটোকল মেনে আসতে হবে।

নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও কেন এই কয়েক হাজার ভারতীয় সীমান্ত এলাকাগুলোতে আটকে আছেন, সেটা স্পষ্ট নয়। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তে আটকে থাকার ফলে ভারতীয়দের খাবার যোগাড় করতেও সমস্যা হচ্ছে। হাতে সেরকম অর্থও নেই অনেকের। স্থানীয়ভাবেই কিছু খাবারদাবার হয়তো এখনও তারা যোগাড় করছেন। কিন্তু এভাবে আর কতদিন চালাতে পারবেন, তা অনেকেই জানেন না।

আবার সামনে আসছে কোরবানির ঈদ। বাংলাদেশে বেশ কয়েকদিন দোকানপাটও বন্ধ থাকবে। সেই সময়ে কীভাবে খাবারদাবার যোগাড় করবেন, সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছেন অনেকেই।

এএইচ/এমবি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি