তীব্র নদী ভাঙনে বাড়ছে দুশ্চিন্তা
প্রকাশিত : ১৭:৫১, ১ আগস্ট ২০২০
যমুনা নদীসহ দেশের সব নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে, তীব্র ভাঙ্গনে দুশ্চিন্তা বাড়ছে নদীপাড়ের মানুষদের। অপরদিকে, বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে এখনও খাবার সংকট রয়েছে। অনেকে ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন উচ্চ স্থানে। এমতাবস্থায় সরকারের সহযোগিতা চান ভুক্তভোগীরা।
এদিকে, অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে নেত্রকোণার সোমেশ্বেরী নদীর তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে ঘরবাড়ি ও কৃষি জমি হারিয়ে নিঃস্ব বহু পরিবার। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভাঙ্গনরোধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেয়ায় স্থানীয়রা বাঁশ-কাঠের প্রাচীর তৈরি করে ঘরবাড়ি রক্ষা করছেন।
তবে, ভাঙ্গন ঠেকাতে নদীর তীর এলাকায় সংরক্ষণ প্রকল্পের বরাদ্দ চেয়েছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। জেলা পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রুহিদুল হোসেন খান জানান, ‘ভাঙন রোধে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।’
এদিকে, টাঙ্গাইলে যমুনাসহ সকল নদীর পানি কমতে থাকায় পানি বিভিন্ন এলাকা থেকে নামতে শুরু করেছে। তবে সাথে সাথে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গন। বন্যা দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার সংকট। দুর্গত এলাকায় প্রশাসনের এবং বেসরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা চালানো হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
অন্যদিকে, পদ্মা সেতুর মুন্সীগঞ্জের কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ নদীতে ফেলা হচ্ছে।
আর ঢাকার অদূরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এসব এলাকায় তলিয়ে গেছে অনেক বাড়িঘর। ভেঙে গেছে রাস্তা, নষ্ট হয়েছে ফসল।
এআই//এমবি
আরও পড়ুন