সেনা কর্মকর্তা মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন
প্রকাশিত : ১৭:৩৬, ৩ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১৮:১৫, ৩ আগস্ট ২০২০
কক্সবাজারের টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করে যুগ্মসচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাকে নেতৃত্বে আনা হয়েছে। এই কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একজন প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে থাকবেন, যাকে মনোনীত করবেন ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডার।
শনিবার জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শাহে এলিদ মইনুল আমিন স্বাক্ষরিত এক আদেশে নতুন কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।
পুনর্গঠিত এই তদন্ত কমিটিতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ পুলিশ মহাপরিদর্শকের মনোনীত একজন প্রতিনিধি।
এছাড়া কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. শাজাহান আলি এই তদন্ত কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন, যাকে শুরুতে এই কমিটির নেতৃত্বে রাখা হয়েছিল।
আদেশপত্রে বলা হয়, সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার উৎস, কারণ এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় ইত্যাদি উল্লেখ করে সুস্পষ্ট মতামতসহ আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে এই কমিটিকে।
এর আগে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় একটি চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের।
নিহত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর। তিনি যশোর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বীর হেমায়েত সড়কের মৃত এরশাদ খানের ছেলে।
টেকনাফের ওই ঘটনায় বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলিসহ ২০ পুলিশ সদস্যকে ইতোমধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের স্থলে ২০ পুলিশ সদস্যকে ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে।
আরকে//
আরও পড়ুন