মেজর (অব.) সিনহা হত্যার ন্যায়বিচার চাই: রাওয়া
প্রকাশিত : ২১:৪৯, ৫ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ০১:১৪, ৬ আগস্ট ২০২০

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের তিন মাসের মধ্যে ন্যায়বিচার করে শাস্তি কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া)।
বুধবার (৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া'র হেলমেট হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) খন্দকার নুরুল আফসার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডে জড়িত সব আসামিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করতে হবে। তদন্ত চলাকালীন যাদের নাম আসবে তাদেরও গ্রেফতার করতে হবে। এছাড়া কক্সবাজারের এসপিকে অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে টেকনাফ থানার ওসিকে গ্রেফতার করতে হবে। ওই ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা, তথ্য গোপন করে মিডিয়ায় বিবৃতি দেয়া এবং একমাত্র চাক্ষুস সাক্ষী সিফাতের বিরুদ্ধে দুটি কাল্পনিক ও বানোয়াট মামলার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এছাড়া অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তোলা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ওসি প্রদীপকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ, প্রত্যক্ষদর্শী সিফাত ও ট্রাক ড্রাইভারসহ সব সাক্ষীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনুরূপ একটি ভিন্ন মন্ত্রণালয় (ভেটেরান মন্ত্রণালয়) গঠন করে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের নিরাপদ ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জীবনযাপনে সার্বিক সহায়তা নিশ্চিত করা।
তারা আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সরকারপ্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্বিক বিষয়গুলো অবহিত আছেন এবং যথাযথ দিকনির্দেশনা দিয়ে ওই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার সম্পন্ন করে সব সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ বন্ধ করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন’
রাওয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘সাক্ষীদের পরিচিত বা আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমেও যেন সাক্ষীদের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি না করা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া কালক্ষেপণ না করে এই মামলার দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান মোতাবেক বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জবাবদিহিমূলক আইন প্রণয়ন করে, সেই অনুযায়ী বাহিনীকে পুনর্গঠিত করতে হবে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৩১ জুলাই) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান তাঁর একজন সঙ্গিসহ কক্সবাজার আসছিলেন। এসমময় পথে টেকনাফের বাহারছরা শামলাপুর চেক পোষ্টে গাড়িটি থামায় পুলিশ। এই সময়ে গাড়িতে তল্লাশি করা নিয়ে বাক-বিতন্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে মেজর সিনহা মো. রাশেদকে লক্ষ্য করে গুলি করে পুলিশ। তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। কমিটি মঙ্গলবার থেকে তদন্ত কাজ শুরু করেছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার এম মিজানুর রহমানকে আহবায়ক করে গঠিত এই কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন, পুলিশের চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাকির হোসেন, সেনা বাহিনী কক্সবাজারের রামুস্থ ১০ ডিভিশনের জেওসি’র প্রতিনিধি লে. কর্নেল সাজ্জাদ এবং কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. শাহজাহান আলী।
এসি
আরও পড়ুন