বেসরকারি হাসপাতাল মনিটরিংয়ে মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স
প্রকাশিত : ১৬:১৩, ৮ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১৬:১৬, ৮ আগস্ট ২০২০
বেসরকারি হাসাপাতালে অনিয়ম বন্ধে মনিটরিং জোরদার করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কোনো হাসপাতাল অনিয়ম করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরইমধ্যে টাস্কফোর্সও গঠন করেছে মন্ত্রণালয়। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে আতঙ্ক না ছড়িয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন।
করোনা মহামারী চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য খাতের নানা অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম-দুর্নীতির নানা চিত্র।
শুরুর দিকে মাস্ক কেলেঙ্কারি এরপর একে একে বেরিয়ে আসে রিজেন্ট-জেকেজি কাণ্ড। নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরিবর্তন আসে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক পদেও। চলছে রদবদল।
অনিয়ম খতিয়ে দেখতে রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে অভিযান শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নিবন্ধন না থাকা কয়েকটি হাসপাতালকে সিলগালা ও জরিমানাও করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জানান, এখন থেকে মনিটরিং জোরদার থাকবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার জানান টিমের সংখ্যা বাড়িয়ে হাসাপাতালে নজরদারি করা হচ্ছে, এবং অনিয়ম দেখার সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচেছ।
এদিকে কোভিড নাইনটিন ব্যবস্থাপনা, সেবার মান বৃদ্ধি ও অনিয়ম বন্ধে ৯ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। হাসপাতালের লাইসেন্স, ফি ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অনিয়ম তদারকি করবে এই টাস্কফোর্স। এছাড়া সারাদেশের হাসপাতালে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ৪৫ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তবে কোনো হাসপাতালের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণ হলেই কেবল ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন।
বিপিএমসিএ এর সভাপতি মবিন খান বলেন তারা যখন কোন অভিযোগ পাবেন, সেগুলো তারা তদন্ত করে দেখবেন, তদন্তে যদি প্রমানিত হয় কেউ অন্যায় দুর্নীতি করছে তাহলে অপরাধীর শাস্তি হবে এটাই স্বাভাবিক।
বিপিএমসিএ বলছে, কোভিড পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলোতে সেবা ও টেস্টের মান বাড়ানো জরুরি।
নিউজটি ভিডিওতে দেখুন-
এসইউএ/এসি
আরও পড়ুন