বঙ্গমাতার ৯০তম জন্মবার্ষিকী পালিত
প্রকাশিত : ২০:০২, ৮ আগস্ট ২০২০
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আজ শনিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী এবারও জাতীয়ভাবে উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় শিশু একাডেমিতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার কর্মময় জীবনের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র পরিবেশন করা হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী।
বঙ্গমাতার ৯০তম জন্মদিন উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১শ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ল্যাপটপ, দরিদ্র, অসহায় নারীদের মধ্যে ৩২শ সেলাই মেশিন এবং ১৩শ দরিদ্র নারীকে ‘নগদ’ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২হাজার টাকা করে প্রদান করেন।
এর আগে সকালে বনানী কবরস্থানে বঙ্গমাতার সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেখানে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে কোরানখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও তাঁতীলীগ, যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, বঙ্গমাতা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গমাতার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস বঙ্গমাতার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ করে। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এ সময়ে বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ৮ টি কোভিড হাসপাতাল এবং কোভিড চিকিৎসার সাথে যুক্ত ৫০০জন সম্মুখসারির যোদ্ধা-চিকিৎসকের মাঝে চিকিৎসা ও সুরক্ষা সামগ্রী উপহার হিসেবে বিতরণ করা হয়।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে দলর সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক ও মির্জা আজম, ত্রান ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এদিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতির পিতার সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষক লীগ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
এছাড়াও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কোরআন খানী, দোয়া, মিলাদ মাহফিল এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী, দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ সপরিবারের নিহত হন তিনি।
ইতিহাসে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেবল একজন রাষ্ট্রনায়কের সহধর্মিনীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে অন্যতম এক নেপথ্য অনুপ্রেরণাদাত্রী।
বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন। ছায়ার মত অনুসরণ করেছেন প্রাণপ্রিয় স্বামী বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে।
এসি
আরও পড়ুন