জন্মাষ্টমী উৎসব শ্রীকৃষ্ণের ভক্তগণকে অনুপ্রাণিত করবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ২৩:৫১, ১০ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ২৩:৫৮, ১০ আগস্ট ২০২০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জন্মাষ্টমী উৎসব শ্রীকৃষ্ণের ভক্তগণকে তাঁর জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করবে।
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আশা করি, এই জন্মাষ্টমী উৎসব শ্রীকৃষ্ণের ভক্তগণকে তাঁর জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে আরো অনুপ্রাণিত করবে।”
তিনি আরো আশা প্রকাশ করেন, ‘সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম-আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। প্রতিষ্ঠিত হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ’।
শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মদিবস জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শ্রীকৃষ্ণের জীবনের উদ্দেশ্য ছিল মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন এবং সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠা। তিনি আজীবন শান্তি, মানবপ্রেম ও ন্যায়ের জন্য কাজ করে গেছেন। শ্রীকৃষ্ণ তাঁর জীবনাচরণ এবং কর্মের মধ্য দিয়ে মানুষের আরাধনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। আমাদের সংবিধানে সকল মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’
সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা বাঙালির হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে বর্তমানে বিশ্ব বিপর্যস্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে মহামারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তিনি এ প্রেক্ষাপটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সবাইকে এবারের জন্মাষ্টমী উদযাপনের আহ্বান জানান। তিনি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেশের সকল নাগরিকের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন।
এসি
আরও পড়ুন