সেক্টর কমান্ডার সি আর দত্তে’র মৃত্যুতে বিভিন্ন মন্ত্রীর শোক
প্রকাশিত : ১৫:০৩, ২৫ আগস্ট ২০২০
সি আর দত্ত
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব:) চিত্ত রঞ্জন দত্ত (সি আর দত্ত) বীর উত্তম এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা।
শোক প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আজ এক শোক বার্তায় মন্ত্রী সি আর দত্তের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সি আর দত্ত বীর উত্তম এর মত বীরের মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব) সি আর দত্ত বীর উত্তমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এক শোক বার্তায় তিনি সি আর দত্তের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
শোক বার্তায় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসে সি আর দত্তের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মতো বীরের মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’
এছাড়া তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন রণাঙ্গনে সি.আর দত্তের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের বীর সন্তান সি. আর দত্তের অসামান্য অবদান বাঙালি জাতি চিরকাল স্মরণ রাখবে।
ড. মোমেন প্রয়াতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন এবং তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।
এছাড়াও শোক ও গভীর শোক প্রকাশ করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী।
সি আর দত্ত যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি আসামের শিলংয়ে জন্ম নেয়া সি আর দত্তের পৈতৃক বাড়ী হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি গ্রামে। তার বাবার নাম উপেন্দ্র চন্দ্র দত্ত এবং মায়ের নাম লাবণ্য প্রভা দত্ত। সি আর দত্ত মুক্তিযুদ্ধের সময় ৪নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন।
এমবি//
আরও পড়ুন