ঢাকা, শনিবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

রাষ্ট্র, সামরিক এবং বিনোদনের উদ্দেশ্যে ড্রোন উড়ানো যাবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৪৭, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ | আপডেট: ২২:৪৯, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

রাষ্ট্র, সামরিক এবং বিনোদনমূলক উদ্দেশ্যে ড্রোন উড়ানোর জন্য পূর্ব অনুমতির দরকার পড়বে না। মন্ত্রিসভা বৈঠকে আজ ‘ড্রোন রেজিস্ট্রেশন এবং ফ্লাইং গাইডলাইন, ২০২০’ অনুমোদন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, বিনোদন বা খেলার উদ্দেশ্যে, রাষ্ট্রীয় ও সামরিক বাহিনীর কোন কারণে ড্রোন ব্যবহারে কোনও পূর্বানুমতির প্রয়োজন নেই। মন্ত্রিসভা আজ ‘ড্রোন রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ফ্লাইং গাইডলাইন, ২০২০ অনুমোদন করেছে। ভার্চুয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিং-এ তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল সভায় যোগ দেন এবং তার মন্ত্রিসভার সহকর্মীরা রাজধানীর বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে সংযুক্ত হয়েছিলেন।

আনোয়ারুল আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সাত থেকে আট মাস আলোচনার পর এই নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত নির্দেশিকায় ড্রোন উড়ানোর ক্ষেত্রে চারটি বিভাগ নির্ধারণ করা হয়েছে, তিনি আরও বলেন, ক ও ঘ বিভাগের ক্ষেত্রে বিনোদনমূলক খেলনা বা খেলার জন্য এবং রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনীর কোন কারণে ড্রোন উড়ানোর জন্য কোন পূর্বানুমতির প্রয়োজন নাই।

তিনি বলেন, কোন ড্রোনের ওজন যা বিনোদন বা খেলনা জন্য উড়ানো হবে, তা পাঁচ কিলোগ্রামের বেশি হবে না এবং মাটি থেকে ৫০০ ফুটের বেশি উঁচুতে উড়তে পারবে না।

সরকারের শীর্ষ আমলা বলেন, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ড্রোন উড়ানো যেমন যে কোন জমির উপর জরিপ চালানো এবং অবাণিজ্যিক উদ্দেশ্য যেমন গবেষণা বা কোন বই লেখার জন্য জরিপ পরিচালনা করা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতির প্রয়োজন হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএবি) ড্রোন উড়ানোর জন্য কোন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে, তা নির্ধারণ করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমস্ত এলাকা সবুজ, হলুদ এবং লাল অঞ্চলে বিভক্ত এবং ‘কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন’-কেপিআই (গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল) রেড জোন হিসেবে বিবেচিত হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিমানবন্দর এবং সামরিক স্থাপনা এলাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের (কেপিআই) উপর ড্রোন উড়ানোর ক্ষেত্রে আগাম অনুমতির প্রয়োজন হবে। গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের উপর ড্রোন উড়ানোর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কাছ থেকে অনুমতি নেয়াই যথেষ্ট নয়, এজন্য নির্দিষ্ট কেপিআই কর্তৃপক্ষের অনুমতিও প্রয়োজন হবে।

আনোয়ারুল বলেন, মন্ত্রিসভা তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ছয় মাসের পরিবর্তে যেকোন সিটি কর্পোরেশনকে তিন মাসের মধ্যে ভোটগ্রহণের বিধান রেখে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) আইন, ২০২০ এর খসড়া অনুমোদন করেছে।

তিনি আরো বলেন, সভায় বাংলাদেশ বিমান কর্পোরেশন (বাতিল) আইন, ২০২০ এর খসড়া নীতিগতভাবে সম্মতি দিয়েছে, কারণ ২০১১ সালে বাংলাদেশ বিমানকে একটি কোম্পানিতে পরিণত করা হয় এবং এটি কোম্পানি আইনের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে।- বাসস

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি