ঢাকা, বুধবার   ০২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানের আহ্বান রাবাব ফাতিমার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৫১, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা দীর্ঘদিন ধরে চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কটের বহুমাত্রিক প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া আমলে নিয়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

আইআইএমএমসহ আন্তর্জাতিক তদন্ত জুডিশিয়াল প্রক্রিয়াসমূহকে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা এবং এই নৃশংস অপরাধের ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিকার নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের প্রতিও তিনি আহবান জানান।

রোহিঙ্গা সমস্যার সাম্প্রতিক চারবছর: ‘টেকসই সমাধান নিশ্চিতের চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সাইড ইভেন্টে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

রাবাব ফাতিমা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের সদিচ্ছা প্রয়োজন। এ সঙ্কটে প্রয়োজন রাজনৈতিক সমাধান। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন সমস্যার মূল কারণগুলোকে চিহ্নিত করে তা নিষ্পত্তি করতে যথোপযুক্ত পরিবেশ তৈরি এবং দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার মতো বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ, কানাডা, সৌদি আরব ও তুরস্ক ইভেন্টটির আয়োজন করে। ভার্চুয়াল এই ইভেন্টটি জাতিসংঘের সদস্য দেশ, জাতিসংঘ সদর দপ্তর ও এর সংস্থা, সিভিল সোসাইটি ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

আলোচনা পর্বে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন মিয়ানমার বিষয়ক স্বাধীন তদন্ত প্রক্রিয়া (আইআইএমএম) -এর প্রধান নিকোলাস কৌমজিয়ান। সঞ্চালক ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত বব রায়।

স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসী সিদ্ধান্ত ও সর্বোচ্চ মানবিক উদারতা প্রদর্শনের মাধ্যমে সীমান্ত উন্মুক্ত করে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সুরক্ষা দিয়েছেন। অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমারের ব্যর্থতার কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সৃষ্ট বর্তমান অচলাবস্থার কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। দীর্ঘদিন ধরে চলমান এ সঙ্কটের রোহিঙ্গা ইস্যুটি কানাডা সরকারের ধারাবাহিক অগ্রাধিকার প্রাপ্ত একটি বিষয় বলে পূনরুল্লেখ করেন কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত বব রায়।

এ সমস্যার মানবিক ও রাজনৈতিক সমাধানের জন্য তিনি বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সমর্থনের আহবান জানান। সঙ্কটের প্রারম্ভেই পূর্ণ মানবিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে আশ্রয় দিয়ে এবং এ পর্যন্ত এই বোঝা বহন করে বাংলাদেশ যে উদারতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন সৌদি আরব ও তুরস্কের স্থায়ী প্রতিনিধিগণ।

ইভেন্টটিতে আরও বক্তব্য রাখেন গাম্বিয়ার বিচার মন্ত্রণালয়ের আইন উপদেষ্টা হুসেইন থামাসি, সংঘাতকালে যৌন সহিংসতা বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি প্রমিলা প্যাটেন, নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের পরিচালক রুভেন মেনিক দিওলা, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে গাম্বিয়া ও মিয়ানমারের মধ্যকার মামলার গাম্বিয়া পক্ষের আইন উপদেষ্টা ড. পায়াম আখওয়ান, গ্লোবাল সেন্টার ফর রেসপনসিবিলিটি টু প্রটেক্ট এর নির্বাহি পরিচালক ড. সাইমন অ্যাডামস্, গ্লোবাল জাস্টিস সেন্টারের প্রেসিডেন্ট আকিলা রাধা কৃষ্ণান, আরাকান রোহিঙ্গা ইউনিয়নের মহাপরিচালক ড. ওয়াকার উদ্দিন।

এছাড়া জাতিসংঘে নিযুক্ত সৌদি আরব, তুরস্ক, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস্ ও ইন্দোনেশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি ও প্রতিনিধিগণ সাইড ইভেন্টটিতে বক্তব্য প্রদান করেন।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি