স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার যোগ্যতা ধরে রেখেছে বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ১৮:২৮, ৮ অক্টোবর ২০২০ | আপডেট: ১৮:২৯, ৮ অক্টোবর ২০২০
করোনা সংকটের পরও স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার যোগ্যতা ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। অর্থনীতির এমন পরিস্থিতি বিবেচনায়, পরবর্তী তালিকায় অবস্থান নিশ্চিত করতে দ্রুত কর্ম পরিকল্পনা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার এক ওয়েবিনারে এমন তাগিদ দেন তিনি।
মাথাপিছু গড় আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা এই তিন সূচকে জাতিসঙ্ঘের মনদণ্ড অতিক্রম করতে পারলেই স্বল্প উন্নত দেশের তালিকা থেকে বেড় হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে একটি দেশ। বাংলাদেশ সে যোগ্যতা অর্জন করেছে ২০১৮ সালে। ২০২১ সালের দ্বিতীয় দফা মূল্যায়নের পর ২০২৪ সালে চূড়ান্তভাবে এই তালিকা থেকে বেরুবে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি করোনা সংকটে বিশ্ব অর্থনীতির অনেক হিসাবই উল্টে গেছে। তারপরও রপ্তানি আয়, রেমিটেন্স প্রবাহ, কৃষি উৎপাদনসহ বিভিন্ন সূচকের অগ্রগতিতে ২০২১ সালের পুনঃমূল্যায়নে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে না। এমন মতই দিলেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
সিপিডি ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, কোভিডের কারণে দারিদ্র্য বেড়েছে, আয় কমেছে। কিন্তু আপনি যে সূচকে নির্ভর করে উত্তরণ করেন সেই সূচকে আপনি উৎরে গেছেন। তাহলে এগুলোকে মোকাবেলা করার জন্য আপনি আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং দেশের উন্নয়ন কৌশল কি হবে এটি পুনঃবিবেচনার প্রয়োজন।
স্বল্প উন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরুলে কমবে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা, বিদেশী সহায়তা এবং ঋণ সুবিধা। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে, বাড়াতে হবে কর পরিধি ও আদায়ের পরিমাণ এবং বিদেশী বিনিয়োগ।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তার উত্তরণকালীন দাবিনামাটাকে খুব দ্রুততার সাথে নিয়ে আসা উচিত। সেখানে বাণিজ্য, উন্নয়ন অর্থ, সেখানে মেধাসত্ত আইন, ওখানে প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়াদি ইত্যাদি সমগ্রতায় এই দাবিনামাটা করা উচিত।
বর্তমানে বাংলাদেশসহ ১২টি দেশ স্বল্পোন্নত অর্থনীতির তালিকা থেকে বের হওয়ার জন্যে অপেক্ষায় আছে।
এএইচ/এসি
আরও পড়ুন