সাম্প্রতিক ঘটনায় দ্রুতই গ্রেফতার হয়েছে ধর্ষকরা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:০৭, ৯ অক্টোবর ২০২০ | আপডেট: ১৫:০৯, ৯ অক্টোবর ২০২০
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূর নির্যাতনের বিষয়টি সামনে আসার সাথে সাথেই ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ-র্যাবের অভিযানে অল্প সময়ের মধ্যেই ধরা পড়ে অপরাধীরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ রকমভাবে পুলিশ বাহিনী তৎপর থাকলে কমবে অপরাধ। আর অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি সামাজিক মূল্যবোধ দৃঢ় করারও পরামর্শ তাদের।
স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজে বেড়াতে আসলে সাত দুর্বৃত্ত ওই দম্পতিকে ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায়। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন গৃহবধূ ।
ওইদিনই তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর ও রবিউল ইসলামসহ আসামীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করে আইন শৃংখলা বাহিনী।
সিলেটের ঘটনার পর পরই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় স্থানীয় সন্ত্রাসী দেলোয়ার বাহিনী।
ঘটনার পরপরই দ্রুততার সাথে দেলোয়ারসহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরাধ দমনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা দরকার।
এ বিষয়ে সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান বলেন, শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করেই এই অপরাধ নিবারণ করা যাবে বলে আমি মনে করছি না। যে আইনটি আছে তার যথাযথ প্রয়োগ দরকার। ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ড হতে পারে, এটা তো আমাদের দেশে প্রচলিত আছে।
সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, পরিবার থেকে নৈতিক শিক্ষা না পাওয়ার কারণেই ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ ঘটছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড, জিনাত হুদা অহিদ বলেন, তরুণদের ফিরিয়ে আনতে হলে প্রথমত পরিবার, সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আসতে হবে। ছেলেমেয়ের লিঙ্গ সমতা, শিক্ষা ব্যবস্থায় এবং সর্বোপরি আইন-শৃঙ্খলায় পরিবর্তন আনতে হবে।
ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে শুধু আইন দিয়ে এ ধরনের অপরাধ দমন করা যাবে না বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এএইচ/এমবি
আরও পড়ুন