করোনা ভ্যাকসিন পাওয়ার লক্ষ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
প্রকাশিত : ২১:২২, ১২ অক্টোবর ২০২০
বাংলাদেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা ভ্যাকসিন পাওয়ার লক্ষ্যে এই ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করা দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
সোমবার (১২ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের পরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘করোনা ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে সম্ভাব্য টিকা আবিষ্কারকদের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথম থেকেই যোগাযোগ রাখছে। ফলে, ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে যে সম্ভাবনা আসছে তার পেছনে তাদের এ প্রচেষ্টা বড় ভূমিকা রেখেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম থেকেই বাংলাদেশ এর বিষয়ে (করোনা ভ্যাকসিন) কাজ করা সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক ফোরামেও সজাগ নজরদারি রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী এবং বৈঠকের সভাপতি শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রিসভার এই সাপ্তাহিক ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উল্লেখ করেছেন, গত জুন মাসে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে লন্ডনে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই)-এর বৈশ্বিক সম্মেলন চলাকালিন বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতার ক্ষেত্রে যোগ্য দেশ হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানান, যা তাঁরা সকলে সাদরে গ্রহণ করে।’
আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ফোরামের তৎপরতা নিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সার্ক সামিটে অংশ নিয়েছেন এবং বাংলাদেশ থেকে টাকা-পয়সাও সার্কের তহবিলে দেওয়া হয়েছে। ইউনাইটেড নেশনে ভিডিওবার্তা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নে গ্লোবাল রেসপন্স তহবিলে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বাংলাদেশ থেকে দেওয়া হয়েছে।
সচিব বলেন, ‘পোশাক শিল্পের ক্রয়াদেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন তার পরিপ্রেক্ষিতে সুইডেন রিভাইস করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে বাতিল ক্রয়াদেশ অধিকাংশই ফেরত আসে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, করোনা মহামারীকালে বিদেশ থেকে শ্রমিকরা যেন ফেরত না আসে সে বিষয়ে শক্তিশালী ও সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে তিন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ নির্দেশনা দিয়েছে যে-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কীভাবে আরো বৈদেশিক আয় বাড়ানো যায়, বিদেশ থেকে আমাদের শ্রমিকরা যেন ফেরত না আসে সে বিষয়ে শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং আরো সচেষ্ট থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’- বাসস
এসি
আরও পড়ুন