ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড : আজ অধ্যাদেশ জারি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৮, ১৩ অক্টোবর ২০২০

ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (১২ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতি এই আইনটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করতে পারেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ সংশোধনের প্রস্তাব তোলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে খসড়ার চূড়ান্ত নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

দেশে ধর্ষণজনিত হত্যায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকলেও শুধু ধর্ষণের ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এবার এ শাস্তিকে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড করা হলো।

সম্প্রতি নোয়াখালীতে এক নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে রাজধানীসহ দেশজুড়ে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের ঝড় উঠে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের প্রস্তাব ওঠে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার এ আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ দেশে ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিচার হয়।

এ আইনের ৯ (১) ধারায় বলা আছে, যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

আর ৯ (২) ধারায় বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তাহলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০’ সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি