আলুর দাম বাড়ার কারণ জানালেন কৃষিমন্ত্রী (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৬:১৬, ১৫ অক্টোবর ২০২০
পর্যাপ্ত মুজুদ থাকার পরও এক শ্রেণীর মুনাফালোভী ব্যবসায়ীর কারণে আলুর দাম বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
মন্ত্রী জানান, বাজার স্বাভাবিক হতে আরও ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগবে। আর আমনের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলে চাল আমদানি করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বছরে দেশে আলুর চাহিদা ৮০ লাখ টন। গেল দুই সপ্তাহ থেকে আলুর বাজার ঊর্ধ্বমুখি। প্রতিকেজির দাম ওঠেছে ৬০ টাকা পর্যন্ত।
গেল মৌসুমে আলুর উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ টন। পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও দাম বৃদ্ধি হওয়ায় আলুর দর প্রতিকেজি ৩০ টাকা বেঁধে দেয় সরকার। তবে নির্দেশনা মানছেন না ব্যবসায়ীরা।
এমন বাস্তবতায় বিশ্ব খাদ্য দিবসে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আয়োজন বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে সমসাময়িক প্রসঙ্গ।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ির জন্য আলুর বাজার অস্থিতিশীল হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এক কেজি আলুতে ২০ টাকা লাভ করা কি সহজ কথা, এতো কেন প্রফিট করবে তরা। চাহিদা বেশি আছে আর সেই সুযোগটিই তারা নিচ্ছে।
মন্ত্রী জানান ২০/২৫ দিনের মধ্যে বাজারে স্থিতি ফিরে আসবে।
এবাবের আমন ধানের উৎপাদনও কয়েক দফা বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। এ সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী বলেন, যদি আমন বেশি ক্ষতি হয়ে যায় সেইক্ষেত্রে হয়তো কিছু চাল আমদানী করতে হতে পারে।
আগামী বোরো ধান আবাদে হাইব্রীড বীজ কৃষকদের বিনামূল্যে দেয়া হবে। পাশাপাশি আবাদে কৃষকদের ভতুর্কিও দেবে সরকার।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই ১শ’ কোটি টাকা চেয়েছি যাতে করে বিনামূল্যে চাষীদের হাইব্রীজ বীজ দিতে পারি।
কোভিড পরবর্তী খাদ্য উৎপাদনে অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এএইচ/এমবি
আরও পড়ুন