ইন্টারনেট ও ডিস ধর্মঘট স্থগিত
প্রকাশিত : ১৯:৩২, ১৭ অক্টোবর ২০২০
সরকারের আশ্বাসে সারাদেশে ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করলো আইএসপিএবি ও কোয়াব। শনিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংগঠন দুটির ডাকা জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছ থেকে পাওয়া আশ্বাসের ভিত্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, বিকল্প ব্যবস্থা না করে এবং সময় না দিয়ে ওভারহেড ক্যাবল (ঝুলন্ত তার) কাটার প্রতিবাদে ১৮ অক্টোবর থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা ও ক্যাবল নেটওয়ার্ক সংযোগ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল আইএসপিএবি ও কোয়াব। সেই সিদ্ধান্তের বিষয়ে শনিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকে দেশে ইন্টারনেটনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি ও ডিশ নেটওয়ার্ক সেবাদাতাদের সংগঠন কোয়াব।
সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম। সংবাদ সম্মেলনে আরও যুক্ত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আফজাল হোসেন, আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক, সহ-সভাপতি জুনায়েদ আহমেদ, কোয়াবের সভাপতি এসএম আনোয়ার পারভেজসহ দুই সংগঠনের সদস্য ও নেতারা।
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এই সংকটকালে প্রতিদিনই সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘করোনাকালে আইএসপিগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে ইন্টারনেট সেবা দিয়েছে। কোয়াব ঘরে ঘরে ডিশ সংযোগ পৌঁছে দিয়েছে। ফলে এদের বিরুদ্ধে বিরূপ আচরণ নয়। ’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে আমি এটুকু সবাইকে আশ্বস্ত করতে পারি— যৌক্তিক সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আর কোনও ক্যাবল কাটা হবে না।’ দুই সংগঠনের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা ধরে নিন প্রাথমিকভাবে আপনাদের বিজয় অর্জিত হয়েছে। বিষয়টিতে সরকারের সবাই সচেতন।’
এই বিষয়টি আগামীকাল (রোববার) প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি জানানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মোস্তাফা জব্বার সংগঠন দুটির নেতাদের কাছে ধর্মঘট কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আপনার আরও কয়েকটা দিন আমাদের সময় দেন, যাতে আমরা এই সমস্যাটার অত্যন্ত সম্মানজনক সমাধান করতে পারি।’
আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়রের সঙ্গেও কথা বলবো। আমি আইএসপিএবি ও কোয়াবের নেতাদের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসুন। আপনারা আমাদের সাতটা দিন সময় দিন। এরই মধ্যে আমরা সবাই মিলে একটা যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছাতে পারবো।’
আরকে//
আরও পড়ুন