শেরপুরে অস্ত্র ও গোলাবারুদ কারা মজুদ করেছে, নিশ্চিত হতে প্রয়োজন অধিকতর তদন্ত- র্যাব
প্রকাশিত : ১৩:৪২, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | আপডেট: ১৫:৫০, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্তে উদ্ধার অস্ত্র ও গোলাবারুদ কারা মজুদ করেছে, নিশ্চিত হতে প্রয়োজন অধিকতর তদন্ত, এমনটাই বলছে র্যাব। তবে, নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দাবি, ৫-৭ বছর আগে সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া না থাকায়, প্রতিবেশী দেশের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো সংরক্ষণ করেতে পারে এসব গোলাবারুদ। আর স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক সময় এই সীমান্ত দিয়েই ভারত থেকে প্রকাশ্যে আসতো বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী আর শাড়ি।
বুরুঙ্গা কালা পানি পাহাড়ী এলাকার চ্যাংবের টিলায় গর্ত খুঁড়েই, একের এক তুলে আনা হয় গুলি ভর্তি ব্যারেল, ভারি মেশিনগান, স্নাইপার আর পিস্তল। এই পাহাড়ের চারটি গর্ত থেকে ড্রাম ভর্তি উদ্ধার করা হয় প্রায় ৪৩হাজার গুলিও। যার মধ্যে রয়েছে বিমান বিধ্বংসী মেশিন গান, রাইফেল আর পিস্তলের গুলি।
গহীন এই পাহাড়ি অরন্যে নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। তবে, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের সঙ্গে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের ওয়াকিটকি আর স্যাটেলাইট ফোন। অবশ্য এসব কাদের মজুদ, সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় র্যাব।
শেরপুর কালাপানি পাহাড়ি এলাকার এক-দেড় কিলোমিটার দূরেই ভারতের মেঘালয় রাজ্য। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ৫-৭বছর আগেও সীমানায় কাঁটা তারের বেড়া না থাকায় অবাধে যাতায়াত করত চোরাকারবারীরা।
এদিকে নালিতাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলছেন, কাঁটা তারের বেড়া না থাকার সময়টাতেই প্রতিবেশি দেশের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো এসব মজুদ করতে পারে।
এলাকাটির স্থানীয় অধিবাসী গারো সম্প্রদায়ের। থাকেন প্রায় এক-দেড় কিলোমিটার দূরে। তবে, এমন অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনায় আতংকিত তারা।
আরও পড়ুন