শিশু নির্যাতন ধামাচাপা দিতে ভাস্কর্যবিরোধী অবস্থান (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৩৪, ৫ ডিসেম্বর ২০২০
বিভিন্ন মাদ্রাসায় যখন শিশু নির্যাতনের মতো অপরাধ সামনে এসেছে তখনই তা ধামাচাপা দিতে ভাস্কর্যবিরোধী অবস্থান নিয়েছে একটি চক্র। এ ইস্যুতে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টাও করছে তারা। তবে আলেমরা বলছেন, শিশু নির্যাতনের মতো অপরাধ দমন করা দরকার। আর ধর্মের অপব্যাখ্যা ইসলাম সমর্থন করে না বলেও মন্তব্য করেন তারা।
দেশের অনেক মাদ্রাসায় এভাবেই শিশুদের নির্মম নির্যাতন করা হয়। প্রায়ই মাদ্রাসার শিশু নির্যাতন সংবাদের শিরোনামও হয়। বলৎকার এবং নারী নির্যাতনের মতো ঘটনাও ঘটছে অনেক মাদ্রাসায়।
দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতন এবং বলাৎকারের ঘটনাগুলো সামনে এসেছে ঠিক তখনই ভাস্কর্যবিরোধী অবস্থান নিয়েছে একটি মহল। সমাবেশ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অপসারণ করার হুমকি দেয়ার মতো ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে তারা।
তবে ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন শিশু নির্যাতন-নিপীড়নের ইস্যুটি সামনে আসা উচিত। এগুলো ধামাচাপা দেওয়া ঠিক নয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মিডিয়া সেলের ইনচার্জ মাওলানা ফখরুল আশিকী বলেন, বিশৃঙ্খলা করা হত্যা চেয়েও জঘন্য। একটি ইস্যু সামনে আসছে এর মধ্যে আরেকটি ইস্যুকে ঢুকিয়ে দিয়ে নতুন করে বিশৃঙ্খলা করবেন সেটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। রাসূল (সা.) সবচেয়ে বেশি ভালবাসতেন শিশুদেরকে। ভালোবাসার জায়গাটা সুনিশ্চিত করে শাসন করা যাবে কিন্তু নির্যাতন করা যাবে না।
ধর্মের অপব্যখ্যা করে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করাও ইসলাম সমর্থন করেনা বলেও মন্তব্য করেন এই আলেম।
গুলশান শাহাজাদপুর জামে মসজিদের খতিব ড. মাওলানা মোরশেদ আলম সালেহী বলেন, যদি নির্যাতন করা হয় তাহলে দেখা যাবে এই ছাত্র মাদ্রাসায় পড়বে না এবং তারা ধীরে ধীরে জঙ্গিবাদের দিকে যাবে, উগ্র হয়ে যাবে। আমাদের ওস্তাদরা হাত-পা বেঁধে এটা কি কুকুর মারছে, নাকি ইঁদুর মারছে বা বিড়াল মারছে। দেশের ভেতর আমরা অরাজকতা-বিশৃঙ্খলা করবো না। ইসলামকে ইসলামের জায়গায় রাখবো।
যারা পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চায়, তাদেরকে সবকিছু ছেড়ে শান্তির পথে থাকার আহ্বান আলেমদের।
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন