মুজিব মানেই স্বাধীনতা, মুজিব মানেই বাংলাদেশ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:১১, ৫ ডিসেম্বর ২০২০
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি মুক্তির স্বাদ পায় ১৬ ডিসেম্বর। বিজয়ের ৪৯ বছর উদযাপনের পাশাপাশি বাঙালি উদযাপন করছে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’। জেল-জুলুম আর দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম শেষে জাতির পিতার তর্জনি হেলনে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য। তাইতো মুজিব মানেই স্বাধীনতা, মুজিব মানেই বাংলাদেশ।
পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের সাথে সাথেই ভাষার ওপর আসে আঘাত। ফুঁসে ওঠে বাঙালি।
অধিকার আদায়ে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ছুটেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বার বার কারাবরণ করছেন। ছেষট্টিতে ছয়দফা দিলেন। ছয়দফা হয়ে উঠলো বাঙালির প্রাণের দাবি। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে মুক্ত হন বঙ্গবন্ধু।
মুক্তির জন্য জাতি যখন প্রস্তুত তখনই আসে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা। পাকিস্তানের কারাগারে ‘জাতির পিতার বন্দি’, মুক্তিপাগল বাঙালি তখন যুদ্ধের ময়দানে। মার্চ থেকে ডিসেম্বর। নয় মাসে এক সাগর রক্তে আসে বিজয়। বিজয়ের ৪৯ বছরে বাঙালি উদযাপন করছে মুক্তির মহানায়কের জন্মশতবার্ষিকী।
আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন বলেন, ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতির ৩ হাজার বছরের ইতিহাসের এই প্রথম বাঙালির জন্য নিজস্ব জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পায় আজ থেকে ৫০ বছর আগে। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন এবং তাঁর কন্যার নেতৃত্বে যেমন মুজিববর্ষ পালন করছি তেমনি বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপন করতে যাবো।
জাতির পিতাই বাহির্বিশ্বে বাঙালিকে বীরের জাতি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।
নূহ-উল-আলম লেনিন আরও বলেন, আমরা সারা দুনিয়ায় আলাদা স্বতন্ত্র একটা জাতি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং আমরা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত।
বাঙালির মনের মণিকোঠায় বঙ্গবন্ধুর নাম। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের পরশ পাথরে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম। তাই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন।
আওয়ামী লীগের এই সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, প্রিয় মাতৃভূমিকে আমরা স্বাধীন করেছি কারও দয়ার দানে নয়। কাজেই এটার চেয়ে গৌরবোজ্জ্বল আর কি হতে পারে? যেই অধ্যায়ের মধ্যে শেখ মুজিব এবং বাংলাদেশ দুটো শব্দ সমার্থক হয়ে উঠেছে।
বিজয়ের ৪৮ বছর কেটেছে, এখনও বাঙালির প্রেরণার উৎস আর সাহসের শেষ ঠিকানা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’।
এএইচ/
আরও পড়ুন