‘ইতিহাস বিকৃতকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে’
প্রকাশিত : ২০:৫০, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০
যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির সাথে জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘যারা ইতিহাস বিকৃতির সাথে জড়িত, যারা অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধার সনদ প্রদান করেছে তারা ইতিহাসের সাথে প্রতারণা করেছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
ফরহাদ হোসেন আজ সোমবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও শহীদ বুদ্ধিজীবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজাকারদের সম্পূর্ণ তালিকা প্রণয়ন সম্ভব হয়নি। কারণ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছে। তারা বিভিন্ন সময়ে ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হলে তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের সঙ্গে নিয়ে এখনো বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ব্যক্তিই দেশের জন্য সত্যিকারভাবে কাজ করতে পারে। তাই স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য তাদেরকে যথাযথভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে হবে।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাহিদুজ্জামান খোকন বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। অধ্যক্ষ হাসানুজ্জামান মালেক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
এসি
আরও পড়ুন