পদ্মাসেতু প্রকল্পের নদী শাসন প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:৪৭, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৭:২৯, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০
পদ্মাসেতু প্রকল্পের নদী শাসনের কাজে পদে পদে প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ। এই অংশটির অগ্রগতি ধীর। কিন্তু প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের আশা, মূল সেতু চালুর আগেই নদী শাসনের কাজও শেষ করা সম্ভব হবে। পদ্মাকে শাসনে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। তবে কাজের ধরনটাই এমন যে, চাইলেও দ্রুত এগুনো সম্ভব নয়।
দুই পাশের সংযোগ সড়ক, মূল ভৌত অবকাঠামো আর, নদী শাসন- এই তিন কর্মযজ্ঞ নিয়ে পদ্মাসেতুর প্রকল্প।
নদীর উপরের কাজ দেখা যায়, পানির নীচেরটা দৃশ্যমান হয় না। আবার, নদীর এপার ভাঙ্গে তো ওপার গড়ে। পদ্মার গতিপ্রকৃতিও বোঝা দায়।
সেই নদীর ওপর সেতু টিকিয়ে রাখার কাজ চ্যালেঞ্জে ভরা।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় কয়েকটি ড্রেজার দিয়ে নকশা ও পরিকল্পনা অনুসরণে কাটা হচ্ছে নদীর তলদেশ। বিশেষ ধরনের বালু নদীতে ফেলা হচ্ছে জিওটেক ব্যাগে ভরে।
দুই তীরে তৈরি হতে থাকা কনক্রিট ব্লক ও বিশাল বিশাল পাথর খণ্ড নামছে নদী বক্ষে ও তীরে।
পদ্মার নদী শাসন কর্মসূচির প্রধান পরামর্শক এমিরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেন, এটার ডিজাইন অনুযায়ী কাজ চলছে কিন্তু কিছুটা পিছিয়ে আছে। বেশ কিছু ফেইলিওর হয়েছে, কাজের গতি কমেছে। সেগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বহমান নদীর নীতিও হলো একেবেঁকে দিক পরিবর্তন করা। আর নদী শাসন সেই দিক পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রণ করে সেতুকে রক্ষা করে। পদ্মাসেতুর ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। পদ্মাসেতুকে ঠিক রাখার জন্য এর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নদী শাসন করার কাজ। তারপরও সকল প্রকার বাঁধাকে উপেক্ষা করে এর কাজ এগিয়েছে ৭৫ ভাগ।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন এটি যেহেতু ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, এটি সবসময় চালু রাখতে হবে।
সেতু সচিব বেলায়েত হোসেন বলেন, নদী শাসনের কাজ ৭৫ ভাগ সমাপ্ত হয়েছে। নদী শাসনের এই কাজটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেটা আগামী মে মাসের মধ্যে সমাপ্ত করতে সক্ষম হবো।
এমিরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত আরও বলেন, মনে রাখতে হবে যে, এই ধরনের নদী শাসন পৃথিবীর কোথাও নেই। এখানে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হয়েছে, নতুন কনস্ট্রাকশন টেকনোলজি উদ্ভাবন করতে হয়েছে। সেটা সাফল্যের সাথে এগিয়ে চলছে, এখন এটা সময় মতো শেষ করার চেষ্টা চলছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্যে পানির নীচের ত্রিমাত্রিক চিত্র তুলতে কাজ করবে আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ একটি সার্ভে বোট।
ভিডিও :
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন