‘জাতির পিতাকে অবমাননা মানে রাষ্ট্রকে অবমাননা’
প্রকাশিত : ১৬:৩৩, ২১ ডিসেম্বর ২০২০
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর এবং তাঁকে অবমাননার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচিতে সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খান বলেছেন, জাতির পিতাকে অবমাননা মানে রাষ্ট্রকে অবমাননা।
সংসদ সচিবালয়ের সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে আজ সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাাজার পাশে জড়ো হন। এরপর মিছিল করে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে গিয়ে তারা মানবন্ধন করেন। বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মাচারী ফোরাম এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খান মানবন্ধনে বলেন, ‘দেশ যখন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মুজিববর্ষ পালন করছে, তখন উৎকট কিছু বিষয় জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে বঙ্গবন্ধুকে অবমানা করছে। জাতির পিতাকে অবমাননা মানে রাষ্ট্রকে অবমাননা। একটি কুচক্রী মহল জনগণকে বিভ্রান্ত করে ফায়দা হাসিল করতে চায়।’
মুজিববর্ষে ঢাকার ধোলাইড়পাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হলে তার বিরোধিতা শুরু করেন কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক বিভিন্ন সংগঠনের জোট হেফাজতে ইসলামের নেতারা। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন, লেখক-অধ্যাপক, শিল্পী-সাহিত্যিকরা।
এর মধ্যেই কুষ্টিয়া শহরে বঙ্গবন্ধুর একটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দুই ছাত্র এবং দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মানব বন্ধনে সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুরুজ্জামান বলেন, ১৯৭৫ সালে একবার ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে, এখন দেশ যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে, তখন আবার ষড়যন্ত্র করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।- বাসস
এসি
আরও পড়ুন