ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইনের বৈঠক নিয়ে অভিযোগ
প্রকাশিত : ২২:০২, ২২ ডিসেম্বর ২০২০ | আপডেট: ২২:০৮, ২২ ডিসেম্বর ২০২০
বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন-২০২০ এর খসড়া চূড়ান্ত করতে ডাকা বৈঠকের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত স্বনামধন্য অনেককেই নীতি নির্ধারণী এই বৈঠকে ডাকা হয়নি। এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে রয়েছে অনেক সমন্বয়হীনতা। তবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা বলছেন, স্টেকহোল্ডারদের যে কেউ চাইলে সভায় উপস্থিত থাকতে পারবে, শুধু আগে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
জানা গেছে, বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় আন্ত:মন্ত্রণালয় ও স্টেকহোল্ডারদের ওই সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল যা বিশেষ কারণে স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞপ্তিটিতে অসংখ্য অসঙ্গতি রয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ২০, ২১ ও ২২ নং সংগঠনের কোনো রেজিস্ট্রেশন খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকী ১৩ ও ২৩ এবং ১২ ও ২৫ নং প্রতিষ্ঠানের হোল্ডিং ও স্থান ঠিকানা একই বলে অভিযোগ করেন তারা।
অভিযোগে বলা হয়, বৈঠকে সক্রিয় ও রেজিস্টার্ড অনেক সংগঠনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এছাড়া সারাদেশে ২৬টি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ থাকলেও এই চিঠিতে মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (আইন-১ শাখা) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, অনেকেই হয়ত বাদ পড়তে পারেন। তবে তালিকায় থাকা অনেকেই এর আগে মতামত দিয়েছিল। আমরা তাদের ঠিকানাগুলোই জানি। আমরা তো আর সবাইকে চিনি না। কারণ আমরা তো আর তাদের নিয়ে কাজ করিনা। আমরা শুধু আইনটা নিয়ে কাজ করি। তবে কেউ যদি বৈঠকে থাকতে চায় তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমার সাথে যোগাযোগ করলেই হবে। তারা সবাই এই বৈঠকে আসলে আমরাই উপকৃত হবো। আমাদের এই নীতিমালা আরও সমৃদ্ধ হবে। অনেকের মতামত নিয়েই আমরা আইনগুলো করি। এটা তো এখন প্রাইমারি ধাপ। আরও অনেক ধাপ বাকি।
এদিকে ইউনানী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাখাতের স্টেকহোল্ডার অধ্যাপক আতাউর রহমান খান মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, অদৃশ্য কারণে প্রতিষ্ঠিত ও এ খাতের নিবেদিত সংগঠন, সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে অপেশাদার অনেক সংগঠনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা মারাত্মক অসঙ্গতি।
আরও পড়ুন