ঢাকা, বুধবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ভিডিও দেখুন

ভাস্কর্যবিরোধীদের লক্ষ্য বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৫, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ মিনার, বধ্যভূমি আর জাতীয় স্মৃতিসৌধ নিয়ে চলছে মিথ্যাচার। ডিজিটাল প্ল্যাটফরমেই এখন সবচেয়ে বেশি সরব সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ আর মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করাই ভাস্কর্যবিরোধীদের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

চলতি মাসে ভাস্কর্যবিরোধীদের প্রকাশ্য সভা-সমাবেশ কমে গেলেও ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে আগের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি সরব তারা। উচ্চ আদালত, বিচার বিভাগ ও সংবিধানবিরোধী বক্তব্যও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে গোষ্ঠীটি। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ আর সংবিধানের উল্টো পথে চলা ভাস্কর্যবিরোধী অপতৎপরতা রোধে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। সম্প্রতি জাতীয় পতাকা মাথায় বেঁধেই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করার ঔদ্ধত্য দেখা গেছে তাদের। গত নভেম্বরে শুরু হওয়া ভাস্কর্য বিরোধী তৎপরতা এখন আর প্রকাশ্যে নেই। তবে নানাভাবে হুমকি অব্যাহত আছে। 

কুষ্টিয়ায় জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাঙার পর ব্রিটিশ উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্যেও আঘাত আসে।  এসবের পাশাপাশি নারীর শরীর, চরিত্র ও শিক্ষা নিয়ে চলছে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ। কর্মজীবী নারীকে নিয়েও হচ্ছে নানা অশালীন মন্তব্য। উচ্চ আদালত আর বিচার বিভাগ নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করতে ছাড়ছেন না তারা।

ভাস্কর্যকে নাজায়েজ ফতোয়া দেয়া হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তৃতা-বিবৃতি ও টক-শোতে অংশ নেয়া জায়েজ বলে মন্তব্য তাদের।

ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর তৎপরতা নজরদারিতে আছে এবং দ্রুতই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। 

জানতে চাইলে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ জানান, ‘উগ্র সাম্প্রদায়িক এক গোষ্ঠী ডিজিটাল প্লাটফর্ম অনলাইনে খুব বেশি সরব তারা। এদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে। এছাড়া সিআইডির সাইবার ইউনিট তাদের যাবতীয় কার্যক্রম মনিটরিং করছে। কে, কেমন সরব, সার্বক্ষণিক আমরা নজরদারি রাখছি।’

রাজনীতিবীদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাওয়া গোষ্ঠীর শেকড় অনেক গভীরে।

এ ব্যাপারে জাসদ  সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘এরা হলো বিএনপি-জামায়াতের আরেকটি খেলোয়াড়। ২০১৩ সালে তাদের হয়ে ভাড়াটে খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছে তারা, পাকিস্তান ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের খেলোয়াড় হিসেবেও খেলেছে। এরা বাংলাদেশে রাজনৈতিক অশান্তি তৈরি করছে।’
 
সংবিধানের উল্টো পথে চলা শক্তিকে প্রতিহত করেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘যারা হইচই করছে, তাদের একটা অংশ কিন্তু একেবারে বিশ্বাস করছে। কারণ তারা ছোটবেলা থেকেই ওটা শিখে এসেছে।’

ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘ভাস্কর্যবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি প্রশ্রয় পেলে সুযোগ সন্ধানীদের এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। কারণ যখনই এসব ঘটনা হয়েছে, বিভিন্ন ফোর্স চেষ্টা করে এই সুযোগে একটা রাজনীতি করার।’
ভিডিও দেখুন :

এআই/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি