কবে খুলছে পদ্মা সেতু?
প্রকাশিত : ১৫:১৪, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০
বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর ভৌত অবকাঠামো দাঁড়িয়ে আছে স্ব-গৌরবে। এই অবয়ব জানান দিচ্ছে, আর বেশি দিন অপেক্ষায় থাকতে হবে না। শিগগিরই যানবাহন ও রেল চলবে এই সেতু দিয়ে।
এটি একটি প্রকৌশলগত কাজ। তাই তড়িঘড়ি কিংবা হিসাব কষে, দিনক্ষণের ছকে ফেলা যাবেনা একে। প্রকৌশলীরা বলছেন, অবকাঠামো নির্মাণের প্রধান চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা গেছে। এখন, চলছে আনুসঙ্গিক কাজ।
দ্বি-তল সেতুর লোয়ার কর্ডে বসছে রেলওয়ে স্লাব। আর আপার কর্ডে বসানো হচ্ছে রোডওয়ে স্লাব। দুই স্তরে কাজ শেষ হয়েছে অর্ধেকের বেশি।
২ মিটার চওড়া-২২ মিটার লম্বা, ৮০ টনের স্লাব দিয়ে একটি স্প্যান পূরণে সময় প্রয়োজন এক মাস। সে হিসেবে ২৩টি স্প্যানে ২৩ মাস। বর্তমান জনবল, দ্বিগুন করলে সময় লাগবে অর্ধেক অর্থাৎ ১১ মাস।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের আন্তর্জাতিক পরামর্শক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের চেয়ারম্যান এম. শামীম. জেড বসুনিয়া বলেন, ‘প্রতিটি স্লাবের দৈর্ঘ্য ৭৫ ফিটের কাছাকাছি। যা ক্রেন ছাড়া উঠানো সম্ভব নয়। স্লাব করতে শ্রমিক দ্বিগুণ করলে সাড়ে ১১ মাস সময় লাগবে। আর দুটি গ্রুপ আনা যায়, তাহলে সেগুলো পাঁচ থেকে ছয়মাসের মধ্যে বসানো সম্ভব। সে প্রক্রিয়াও চলছে।’
এরই মধ্যে জনবল ও শিফট বাড়ানো হয়েছে। চলতি ডিসেম্বরের শেষে আরো কর্মী যুক্ত হচ্ছে নির্মানযজ্ঞে। তিনি বলেন, ‘আগামী বছর বিজয় দিবসের মধ্যে যদি সম্ভব হয়, তাহলে আমাদের জন্য সবচেয়ে ভাল হবে। আর যদি না হয়, পরের বছর ২০২২ সালে স্বাধীনতা দিবসে হতে পারে।’
শুধু স্লাব বসানো নয়, এর সাথে চলছে রেলিং বাসানো ও ওয়্যারিং কোর্স নির্মাণ। শেষ করতে হবে বিটুমিন অথবা কনক্রিট ঢালাই। এসব কাজ শেষে বসবে সিগন্যালিং সিস্টেম, রোড লাইট, গ্যাস পাইপ লাইন, উচ্চ ক্ষমতার বিদ্যুৎ লাইন, ফাইবার অপটিক টেলিফোন ক্যাবল লাইন।
বসুনিয়া বলেন, ‘গার্ডার বসাতে হচ্ছে। রোডের স্লাব হবে, রেলিং হবে। ইতোমধ্যে জাজিরা প্রান্তে এসব বসানো শেষের দিকে। কিন্তু মাওয়া প্রান্তে এখনও গার্ডই উঠানো হয়নি।’
শুরুতে প্রকল্পে ৪ হাজার ২শ’ দেশি এং ৯৮০ জন বিদেশী কর্মী কাজ করত। করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর কাজ করছে, ৩ হাজার বাংলাদেশি এবং ৭শ’ চীনের নাগরিক।
চলতি মাসের শেষে একটি এবং আগামী বছরের জানুয়ারিতে আরো একটি গ্রুপ কাজে যোগ দিলে গতি ফিরবে প্রকল্পের কাজে। এতে করে জুনের আগে যে কোন সময় চালু হতে পারে এই সেতু। ঠিকাদারও সময় চেয়েছে সে পর্যন্তই।
ভিডিও :
এআই/এসএ/
আরও পড়ুন