রোহিঙ্গাদের স্বস্তির ঠিকানা এখন ভাসানচর (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৪৬, ৪ জানুয়ারি ২০২১ | আপডেট: ১২:৪৭, ৪ জানুয়ারি ২০২১
কক্সবাজার থেকে দুই দফায় ভাসানচরে আসা তিন হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গার কাছে শান্তি আর স্বস্তির নাম এখন ভাসানচর। রোহিঙ্গাদের পদচারনায় চরের বুকে লেগেছে প্রাণের ছোঁয়া। উন্নত আবাসনসহ জীবনধারণের নিরবচ্ছিন্ন সুযোগ সুবিধার কমতি নেই। মিয়ানমার সরকারের নির্মমতায় ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হওয়া নিপীড়িত রোহিঙ্গারা কৃতজ্ঞ বাংলাদেশ সরকারের আতিথেয়তায়।
নোয়াখালীর মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা ভাসানচরের আয়তন প্রায় ১৩ হাজার একর। চরের ৬ হাজার ৪২৭ একর জমির মধ্যে প্রকল্প এলাকা ১ হাজার ৭০২ একর। ক্লাস্টার এলাকা প্রায় ৪৩২ একর ও অব্যবহৃত ভূমি ৯১৮ একর।
এক মাসের ব্যবধানে বদলে গেছে পুরো নিস্তব্ধ ভাসানচর। মোট ১২০ টি ক্লাস্টারের মধ্যে ৮টি ক্লাস্টার এখন প্রাণচাঞ্চল্যে ভরা। দুই দফায় আসা তিন হাজারের বেশি রোহিঙ্গার আবাসস্থল ঘিরে গড়ে উঠেছে দোকানপাট।
ঘরে ঘরে সৌর বিদ্যুতের আলো, পানির সুব্যবস্থা, স্যানিটেশন, চিকিৎসাসহ সব ব্যবস্থায় আছে। রয়েছে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বাজার, স্কুল, মসজিদ, টেলিযোগাযোগসহ আধুনিক সুযোগ সুবিধার সমস্ত আয়োজন। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মমতায় দেশছাড়া রোহিঙ্গারা কৃতজ্ঞতার সীমা নেই বাংলাদেশের প্রতি।
মুক্ত পরিবেশে আপন মনে খেলা করছে শিশু কিশোররা; ঘুরে বেড়াচ্ছে শান্তি আর স্বস্তিতে। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ জীবিকা নির্বাহের সুযোগ তৈরির কাজও চলছে। এরিমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ভাসানচর পরিদর্শনও করেছে।
ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ এর প্রকল্প কর্মকর্তা কমোডর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী বলেন, প্রথম দফায় ভাসানচরে আসা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েই এসেছে দ্বিতীয় দলটি। পরের দফায় এই সংখ্যা আরো বাড়বে।
আরকে//
আরও পড়ুন