তিস্তায় কমেছে পানি প্রবাহ, হুমকির মুখে চাষাবাদ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:১৫, ২১ জানুয়ারি ২০২১
শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই তিস্তায় কমে গেছে পানি প্রবাহ। চাষাবাদ পড়ছে হুমকির মুখে। ব্যারেজ থেকে শুরু করে তিস্তার বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি না থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন চর এলাকার কৃষি শ্রমিকরা।
তিন মাস আগেও ছিল থৈ থৈ পানি। চলত মালবাহী নৌকা, জেলেরা ধরতো মাছ। এখন সেখানে ধুধু বালুচর।
বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর ও বগুড়া জেলার অনাবাদি জমি সেচের আওতায় আনতে চালু করা হয় তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্প। সুফলও মিলে ছিল। তিস্তার পানি ব্যবহার করে ধান, গম, ভুট্টা, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসল ঘরে তুলতো চাষীরা। কিন্তু তিস্তায় পানি এখন নেমে এসেছে ৪৫০ থেকে ৫০০ কিউসেকে। পানির অভাবে ৫০টি চরাঞ্চলের ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ।
কৃষকরা জানান, নদীতে পানি থাকলে আবাদ করতে সুবিধা হয়। পানি না থাকলে মালামাল পারাপারে অনেক অসুবিধা, নৌকা তো চলে না। পানি কোন সময়ে একহাঁটু আবার কোন সময়ে থাকেই না।
দ্রুত তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি বাস্তবায়ন ও নদী খনন করে চাষাবাদের সুযোগ চায় তিস্তাপাড়ের মানুষ।
চর অঞ্চলের মানুষরা জানান, পানির অভাবে আবাদ হচ্ছে না। চর অঞ্চলে চাষাবাদ করতে শ্যালো বসিয়ে পানি আনতে হচ্ছে।
পানি কম থাকায় সেচের সমস্যা সমাধানে নদীতে গর্ত করে সেচের ব্যবস্থার পরামর্শ কৃষি বিভাগের।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামিম আশরাফ বলেন, গর্ত তৈরি করতে হবে, সেই গর্তে যে পানি আসবে, সেই পানিটা তুলে তারা যদি এখানে সেচ দিতে পারে তাতেই কাজ হয়ে যাবে। এতে করে আমাদের সেচ পানির যে অভাবটা সেটা পূরণ করা সম্ভব।
সেচের ব্যবস্থা করে চাষাবাদের সুযোগ বাড়লে দুর্দিন কাটবে তিস্তাপাড়ের কৃষকদের।
ভিডিও :
এএইচ/ এসএ/
আরও পড়ুন