পাপুলের এমপি পদ খারিজ হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:৫২, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | আপডেট: ১৫:৫৬, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
কুয়েতের আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় শহীদুল ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদ খারিজ হওয়া উচিত বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, অর্থ ও মানব পাচারের দায়ে কুয়েতের আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় পাপুল সংসদ সদস্য থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী এই প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন সময়ের ব্যাপার মাত্র বলে মনে করেন তারা।
অর্থ ও মানব পাচারের মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন কুয়েতের আদালত। দেশের ইতিহাসে প্রথম কোনো এমপি বিদেশে এমন দণ্ড পেলো।
বিদেশে এ রায়ের পর পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বহাল থাকবে কি থাকবে না- তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমপি পাপুলের এ বিষয়টি একেবারেই নতুন। এরকম প্রশ্ন এর আগে আসেনি।
সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, সাজা হওয়ার কারণে সংসদ সদস্য পদ গিয়েছে এ ধরনের নজির নেই। কিন্তু যদি নীতি-নৈতিকতা, বাস্তবতা, সমাজ, স্বচ্ছতার দিক দিয়ে দেখতে চান তাহলে আমি মনে করি পাপুলের সংসদ সদস্য পদ থাকা উচিত না।
সংবিধানে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে ন্যূনতম দুই বছরের সাজা হলে এমপি পদ খারিজ হওয়ার বিধান রয়েছে। সাজা দেশে হবে, না বিদেশে, তা অস্পষ্ট বলে মত দেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আমাদের সংবিধানের ৬৬/২ঘ ধারা কতটুকু প্রযোজ্য, আদৌ প্রযোজ্য কিনা অথবা প্রযোজ্য হলে কতটুকু হবে সেটার একটি সাংবিধানিক ব্যাখ্যার প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে উচ্চতর আদালতের রায়ের প্রয়োজন হবে।
তবে কুয়েতে সাজা হলেও বাংলাদেশের সংসদে পাপুলের পদ খারিজ হবে বলেই মনে করছেন তারা। এ জন্য কুয়েতের আদালতের রায়ের অনুলিপি পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানান আইনজ্ঞরা।
সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে তার সংসদ সদস্য পদ খারিজ হওয়া বাঞ্ছনীয় এবং এটা শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার। প্রক্রিয়া করার জন্য যতটুকু সময়, সেই সময়ের ব্যাপার।
দেশেও পাপুলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ এনে মামলা করেছে সিআইডি। এ ছাড়া পাপুলের ভাই ও শ্যালিকার দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও এই মামলা করা হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনও পাপুলের বিরুদ্ধে মামলা করছে।
ভিডিও
এএইচ/
আরও পড়ুন