বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক অটুট আছে ও থাকবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশিত : ২৩:৪৫, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক অটুট ছিল, আছে এবং থাকবে। তিনি বলেন, “আমি ৬ ফেব্রুয়ারির ব্রিগেডে বঙ্গবন্ধুর ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক চিরকাল অটুট থাকবে। আমি একই সাথে বলতে চাই বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক অটুট ছিল আছে এবং থাকবে।”
‘এই সময় ভারতের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ২০ লাখ ভ্যাকসিন পেয়েছে এবং এই ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে তিন কোটি ভ্যাকসিন পাবে। এতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক যে অটুট বন্ধন ছিল তা চিরকাল অটুট থাকবে’ বলেন তথ্যপ্রতিমন্ত্রী।
মুরাদ হাসান আজ কলকাতার প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ‘’বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র’’শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয়েরর আয়োাজনে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া। উপস্থিত ছিলেন ভাষাবিদ ড. পবিত্র সরকার, কলকাতার বিশিষ্ট পরিচালক সৃজিত মুখার্জী প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। পরিচালনা করেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের প্রথম সচিব প্রেস ডঃ মোঃ মোফাকখারুল ইকবাল।
প্রধান অতিথি কলকাতার বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের সহযোগিতায় কলকাতার ঐতিহাসিক প্রেসক্লাবে এমন আয়োাজনে অংশ নিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করে বলেন, ‘ বিশেষ করে কলকাতার সেই ঐতিহাসিক প্রেসক্লাব যা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সহযোগী। সেখানে বসে বক্তব্য রাখা আমার কাছে গর্বের।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে যে জনসভায় বক্তব্য রেখেছিলেন তা ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এবং বিশাল সমাবেশ। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের ১৪ লাখ মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতি যে সমর্থন ব্যক্ত করেছিলেন তা আন্তরিকভাবে স্মরণ করেন। একই সাথে তিনি ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে গভীরভাবে স্মরণ করেন।
ইন্দিরা গান্ধীর অবদান বাংলাদেশ চিরকাল মনে রাখবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম এবং বাংলা ভাষি শিল্পী-সাহিত্যিকদের স্মরণ করেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া বলেন, এখন যৌথ ভাবে কাজ করে দুদেশের চলচ্চিত্র অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশের অনেক শিল্পীকে পশ্চিমবাংলাও চিনতে পারছে। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক ভাবে ভাগ হয়ে গেলেও আদতে আমারা বাঙালি। তাহলে আমারা কেন পানি ভাগ করে নিতে পারবো না? আমরা যদি ভাগাভাগি করে নিতে পারি তাহলে আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ থাকবে না।’
সৃজিত মুখার্জী বলেন, তৃতীয়বারের মতো যে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব হচ্ছে যেখানে দেখে মনেই হয় না আলাদা করে অন্য কোন দেশের চলচ্চিত্র দেখছি। আন্তর্জাতিক ভাবে বাংলাদেশ আলাদা দেশ হলেও অন্তত পশ্চিমবাংলা বাসীর কাছে বাংলাদেশের ছবি দেখার জন্য কোন সাব টাইটেলের প্রয়োজন হয় না। কারণ আমরা ছোটবেলা থেকেই বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির মধ্যে বড় হয়েছি।
পবিত্র সরকার বলেন, ‘আমি চুরাশি বছর বয়স পার করেছি। এতগুলো বছরেও আমি খুব একটা চলচ্চিত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই, তবে আমি যৌবনে কিছু সিনেমা দেখতাম। আমি বেশি পরিচিত বাংলা নাটকের সাথে। এখনও বাংলাদেশে গেলে সেখানকার নাটক দেখি। তবে চলচ্চিত্র না দেখলেও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের খবর রাখি। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক উন্নত মানের সিনেমা তৈরি হচ্ছে, বিশ্বের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মান ও গুরুত্ব পাচ্ছে। যা আমার কাছে বাঙালি হিসেবে গর্বের।- বাসস
এসি
আরও পড়ুন