শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ: তথ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত : ২০:৩১, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের সবগুলো সূচক অর্জিত হওয়ার কারণে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী আজ দুপুরে আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রচার মাধ্যমগুলোতে এখন গুরুত্বের সাথে প্রচার করা হচ্ছে সবগুলো সুচকে সেই দেশকে পিছিয়ে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ইমরান খান যখন বলেছিলেন আগামী দশ বছরে পাকিস্তানকে সুইডেন বানিয়ে দিবেন। তখন সে দেশের মানুষ বলেছিলেন আগামী দশ বছরে সুইডেন নয়, বাংলাদেশ বানিয়ে দেন। বিগত ১২ বছরে সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যত অর্জন হয়েছে তার সবগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ফলে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি অনেক সহনীয় পর্যায়ে। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও বাংলাদেশে তেমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নি।
‘বিএনপি নেতাসহ সরকারের সমালোচকরা করোনা শুরুর প্রথম থেকে বলে আসছে বাংলাদেশে কোটি কোটি মানুষ আাক্রান্ত হবে আর লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাবে’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘তারা আরও বলেছিলেন সরকার করোনা প্রতিষেধক টিকা আনতেই পারবে না। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। টিকা উৎপন্ন হওয়ার আগেই টিকা ক্রয় করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই টিকা বাংলাদেশে এসেছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা দেয়া অব্যাহত রয়েছে।’
যারা বলেছিলেন টিকা আনতে পারবে না সেই বিএনপি নেতারা এবং সামলোচকরা গোপনে টিকা গ্রহন করছেন উল্লেখ করে তিনি বিএনপি নেতা এবং ঐসব সমালোচকদের গোপনে টিকা গ্রহণ না করে প্রকাশ্যে টিকা নেয়ার আহ্বান জানান। এ ব্যপারে জনগণকে বিভ্রান্ত না করতেও তাদের প্রতি আহবান জানান হাছান।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি বলেছিলেন করোনা পরিস্থিতিতে দেশে হাজার হাজার মানুষ অনাহারে মারা যাবে। কিন্তু সরকারের যথযথ পদক্ষেপের কারণে গত এক বছরে একজন মানুষও অনাহারে মারা যায় নি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে ছিল। যার ফলে, সরকারের মন্ত্রী, এমপিসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, অনেকে মৃত্যুবরন করেছেন। ’
তথ্যমন্ত্রী নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন জানিয়ে বলেন, ‘অথচ যারা রাজপথে সরকারের সমালোচানায় মুখর ছিলেন, দেশের মানুষের পাশে তারা ছিলেন না। করোনা পরিস্থিতিতে যখন শ্রমিক সংকটে কৃষকরা তাদের ক্ষেতের ফসল ঘরে তুলতে পারছিলেন না তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাঠে মাঠে গিয়ে কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে। দেশে এই ধরনের নজির ইতিপূর্বে ছিল না। ’
হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতুত্বকালীন ভাতা, অসহায় গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঘর বরাদ্দ দিয়ে দেশে নজির সৃষ্টি করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানীভাতা পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করে এখন ২০ হাজার টাকা করা হচ্ছে। তিনি সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম এবং উন্নয়নের কথা দেশের মানুষের মধ্যে প্রচার করতে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়াও, যারা নিজেদের পিঠ বাঁচাতে দলে ভিড়েছেন তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত না করে ত্যাগী এবং দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে আগামী কমিটি গঠন করতে নেতাকর্মীদের পরামর্শ দেন।
আত্রাই উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ দত্ত দুলালের সভপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, নওগাঁ সদর আসনের এমপি ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন এবং আত্রাই-রানীনগর আসনের এমপি মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল। সম্মেলন উদ্বোধন করেন নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আব্দুল মালেক।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্যায়ে নৃপেন্দ্রনাথ দত্ত দুলালকে সভাপতি ও মো. আক্কাস আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়।- বাসস
এসি
আরও পড়ুন