ভাসানচর পৌঁছাল আরও ২২৬০ রোহিঙ্গা
প্রকাশিত : ১৮:৪৫, ৩ মার্চ ২০২১ | আপডেট: ১৮:৪৮, ৩ মার্চ ২০২১
কক্সবাজার থেকে ভাসানচর স্থানান্তরের পঞ্চম দফার প্রথম দিনে আরও ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর পৌঁছেছে। সকাল ১০ টা ২০ মিনিটে নৌবাহিনীর ছয়টি জাহাজ চট্টগ্রাম থেকে এসব রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা করে। এটি একদিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গার নতুন আবাসস্থলে গমন।
চট্টগ্রাম বোট ক্লাব জেটিঘাটে জাহাজের বহরকে বিদায় জানান ও স্থানান্তর প্রক্রিয়া তদারকি করেন চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের প্রধান রিয়ার এডমিরাল এম মোজাম্মেল হক ও নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
জানা যায়, ঘন কুয়াশার কারণে আজ জাহাজ ছাড়তে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। জাহাজের বহরটি দুপুর আড়াইটার দিকে পর্যায়ক্রমে ভাসানচর পৌঁছে। এ ছয়টি জাহাজের সাথে রোহিঙ্গাদের মালামালবোঝাই আরো একটি জাহাজ রয়েছে। এসব মালামালের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সাথে অনেকেই তাদের পালিত হাঁস-মুরগীও নিয়েছেন। আগামীকাল পঞ্চম দফার দ্বিতীয় দিনে আরো দু’হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচর যাবে।
বোট ক্লাব জেটিতে অপেক্ষমাণ রোহিঙ্গারা জানায়, অত্যধিক শরণার্থীর চাপে উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয় শিবিরগুলোতে তাদের জীবন-যাপন দুর্বিষহ ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাসের প্রেক্ষিতে উন্নত পরিবেশে বসবাসের আশায় তারা স্বেচ্ছায় ভাসানচর যাচ্ছে। আজ জাহাজ ছাড়তে কিছুটা বিলম্ব হলেও কারো চোখে-মুখে বিরক্তির ছাপ দেখা যায়নি। বরং পুরোটা সময় নিজেরা খোশগল্পে মেতেছিল।
গতকাল (মঙ্গলবার) কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ৫০ টিরও বেশি বাসে করে এদের চট্টগ্রামে আনা হয়। গভীর রাতে পৌঁছে পতেঙ্গাস্থ বিএএফ শাহীন কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পে খাওয়া-দাওয়াশেষে তারা সেখানে রাত্রি যাপন করে।
রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয় গত বছরের ৪ ডিসেম্বর। প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যায়। দ্বিতীয় ধাপে ২৯ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৫ জনকে ভাসানচর নেয়া হয়। তৃতীয় ধাপে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি দুইদিনে ৩ হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পৌঁছে দেয়া হয়। চতুর্থ ধাপের প্রথম দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি ২ হাজার ১৪ জন ও দ্বিতীয় দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর স্থানান্তরিত হয়।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চম ধাপের দ্বিতীয় দিনের স্থানান্তর প্রক্রিয়া শেষ হলে ১৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজার থেকে ভাসানচর পৌঁছাবে। সরকার মোট এক লক্ষ রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে। সেখানে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন গুচ্ছ আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে।
এসি
আরও পড়ুন