জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৫তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস আজ
প্রকাশিত : ০৯:১০, ১৭ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১৪:১৫, ১৭ মার্চ ২০১৬
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৫তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস আজ। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ হাজার বছরের শৃঙ্খলিত বাঙালীর মুক্তির দিশা নিয়ে জন্মেছিলেন এই দেদীপ্যমান আলোক শিখা। ২১৪ বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান আর বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ট নেতৃত্বেই স্বাধীনতা পায় এই জনপদের মানুষ। পূর্ণতা পায় ভাষাভিত্তিক জাতীয়তা। তাইতো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী শেখ মুজিবুর রহমান।
গোপালগঞ্জের মধুমতি আর বাঘিয়ার নদীর তীরে হাওড়-বাঁওড়ের মিলনে গড়ে ওঠা বাংলার অবারিত গ্রাম টুঙ্গিপাড়া। এখানেই ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ শেখ পরিবারে জন্ম নেন শেখ মুজিবর রহমান। সবাই ডাকতো খোকা বলে। কিন্তু, সেদিনের খোকা বাবুই যে হয়ে উঠবে নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালীর মুক্তির দিশারী, তা ক’জনারইবা জানা ছিলো !
চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে মুজিব ছিলেন বাবা শেখ লুৎফর রহমান ও মা সায়রা খাতুনের তৃতীয় সন্তান। ৭ বছর বয়সে পার্শ্ববর্তী গিমাডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। পরবর্তীতে মাদারীপুর ইসলামিয়া হাইস্কুল, গোপালগঞ্জ সরকারী পাইলট স্কুল ও পরে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে পড়েন। ১৯৪২ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলকাতায় বিখ্যাত ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন। ১৯৪৬ সালে বিএ পাস করেন। কিন্তু, রাজনীতিতে হাতেখড়ি দিয়েছিলেন এরও আগে।
ডানপিটে মুজিব যে দাপুটে রাজনীতিবিদ হবেন, তা-ও জানান দিতে সময় নেননি। ১৯৩৯ সালে মিশন স্কুলে পড়ার সময় স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ও পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। সে সময়ে স্কুলের মেরামত কাজ ও ছাদ সংস্কার এবং খেলার মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জরুরি অর্থ বরাদ্দের দাবি করেন শেখ মুজিব। এছাড়া, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদেয়ার অপরাধে ছাত্রজীবনেই প্রথম গ্রেপ্তার হন তিনি।
কিশোর মুজিব ছেলেবেলায় শাশ্বত গ্রামীণ সমাজের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না যেমন দেখেছেন, তেমনি জমিদার, তালুকদার ও মহাজনদের অত্যাচার, শোষণ ও প্রজাপীড়ন পীড়া দিয়েছে তাকে।
দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনে নির্যাতন-নিপীড়ন আর ফাঁসির মঞ্চকে তুচ্ছ করে হয়ে শেখ মুজিব হয়ে ওঠেন বাঙালীর অবিসংবাদিত নেতা। মানুষের বন্ধু, বঙ্গবন্ধু।
মহাকালের আবর্তে ক্ষমতার পালাবদলে- ইতিহাসের অস্থির সময়েও তিনি আছেন, থাকবেন সবুজ পল্লবে ঋজু বৃক্ষের মতো- বাঙালীর অনুপ্রেরনার শক্তি হয়ে।
আরও পড়ুন