হলোকাস্টের চেয়েও ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ঘটে একাত্তরে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:২৮, ১৭ মার্চ ২০২১
পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ে বড় গণহত্যা ঘটে বাংলাদেশে, ১৯৭১ সালে। তবে তা এখনও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি। এটি লজ্জাজনক, বলছে ফ্রান্সের প্যারিসভিত্তিক থিংক ট্যাংক- সেন্টার অফ পলিটিক্যাল এন্ড ফরেন অ্যাফেয়ার্স। এ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হলোকাস্টের চেয়েও ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ঘটে একাত্তরে বাংলাদেশে। বিষয়টি এরইমধ্যে নথিভুক্ত ও সুপ্রতিষ্ঠিত হলেও কেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে না, এই প্রশ্ন সংস্থাটির।
পাঁচ দশক আগে ৭১’র মার্চে বাঙালি জাতিস্বত্তাকে চিরতরে নির্মূল করে দিতে অপারেশন সার্চলাইট নামে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী।
সেদিনের সেই ভয়াবহ গণহত্যা আড়াল করতে পারেনি পাকিস্তানি বাহিনী। পরবর্তীতে তার ভিডিও, ছবি, তথ্য-উপাত্ত দেখেছে বিশ্ব। শুধু তাই নয়, মার্চ থেকে ডিসেম্বর- এই নয় মাসের নৃশংসতা ও বর্বরতার দৃশ্যও বিশ্বের কাছে স্পষ্ট।
তবে দুর্ভাগ্যজনক হলো, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও বিশ্বের ইতিহাসে স্থান পায়নি এই গণহত্যা। প্যারিস ভিত্তিক থিংক ট্যাংক- সেন্টার অফ পলিটিক্যাল এন্ড ফরেন অ্যাফেয়ার্স সম্প্রতি ‘ইস্ট পাকিস্তান জেনোসাইড: স্টিল ইয়ার্নস ফল গ্লোবাল অ্যাকনলেজমেন্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদনে এমন ক্ষোভের কথাই জানায়।
এতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক, ইতিহাসবিদ ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে বলা হয়- একাত্তরে তিন ধাপে গণহত্যা চালায় পাকবাহিনী। প্রথম ধাপে- মার্চ থেকে মে পর্যন্ত চলে ব্যাপকভাবে হত্যাযজ্ঞ, দ্বিতীয় ধাপে- মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তল্লাশী, ধর্ষণ ও ধ্বংসযজ্ঞ আর শেষ ধাপে- ডিসেম্বরে হত্যা করে বুদ্ধিজীবীদের।
প্যারিস ভিত্তিক এই থিংক ট্যাংকটির দাবি, নয় মাসে ৩০ লাখ মানুষের আত্মদান, ৫ লাখেরও বেশি নারীর সভ্রমহানি- এতো অল্প সময়ে এমন বর্বরতার নজির পৃথিবীর আর কোথাও নেই। সময়ের সঙ্গে নিহত মানুষের সংখ্যার আনুপাতিক হার হিসাব করলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হলোকাস্টকেও হার মানায় বাংলাদেশে সংঘটিত এই গণহত্যা।
সংস্থাটির মতে, ইউরোপ-আফ্রিকার গণহত্যা যদি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়, তবে বাংলাদেশ কেন বঞ্চিত হবে এই স্বীকৃতি থেকে? বিশ্বের প্রতি প্রান্তের মানুষেরই যুদ্ধের এমন নৃশংসতা, একইসঙ্গে আত্মত্যাগের এমন মহান দৃষ্টান্ত জানা উচিত বলে মত সংস্থাটির।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন