বিমান বন্দরে নরেন্দ্র মোদিকে লালগালিচা সংবর্ধনা
প্রকাশিত : ১৪:১৯, ২৬ মার্চ ২০২১
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ-জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ সকালে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ বিমান আজ সকাল সাড়ে দশটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।
বিমান বন্দরে পৌঁছার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান। বিমান বন্দরে নরেন্দ্র মোদিকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
দশ দিনের অনুষ্ঠানমালায় যোগদানকারী বিশ্ব নেতৃবৃন্দের মধ্যে নরেন্দ্র মোদি হচ্ছেন পঞ্চম রাষ্ট্রীয় অতিথি।
বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর নরেন্দ্র মোদির এটাই প্রথম বিদেশ সফর। বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে । এসময় দুই প্রধানমন্ত্রী বিমান বন্দরে অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় দু’দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
রাষ্ট্রীয় অতিথি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। পরে দুই প্রধানমন্ত্রী একে অপরকে নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এ সময় বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও তিন বাহিনীর প্রধানগণও উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিমান বন্দরের আনুষ্ঠানিকতার পর নরেন্দ্র মোদি পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান। সেখানে স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
এরপর, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন।
বিকেলে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন হোটেল সোনারগাঁওয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
পরে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী বিকেলে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ-জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানমালার দশম দিনের অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে যোগ দেবেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।
সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু যাদুঘর’ উদ্বোধন করবেন। সেখানে মোদি তার সম্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় যোগ দিবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ পরিদর্শন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তিনি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলায় ওরাকান্দি মন্দির এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঈশ্বরিপুরে অবস্থিত যশোরেশ্বরী দেবী মন্দির পরিদর্শন করবেন।
একই দিন বিকেলে, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে করবেন। একই সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ভার্চুয়ালি যৌথভাবে বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
পরে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
নরেন্দ্র মোদি ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় নয়াদিল্লীর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
সূত্র : বাসস
এসএ/
আরও পড়ুন