করোনায় অস্পষ্ট শ্রমিকের কন্ঠস্বর (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:২৭, ১ মে ২০২১
করোনার কালো ছায়ায় অস্পষ্ট হয়েছে শ্রমিকের কন্ঠস্বর। কাজ টিকিয়ে রাখা জরুরি, তাই শ্রম অধিকারের জন্যে উচ্চকন্ঠ হওয়ার সুযোগ কমেছে অনেকখানি। শ্রমিক সংগঠনগুলোও কর্ম-পরিবেশ, শ্রমমান, ন্যায্যতার প্রশ্নে অনেকটা নমনীয়। করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন শ্রমিকদের সরাসরি সরকারি সহায়তার দাবি করেছেন শ্রমিক নেতারা।
দিনে আট ঘণ্টা শ্রম, আট ঘণ্টা বিশ্রাম আর আট ঘণ্টা সামাজিক সময়- এমন দাবিতে ১৮৮৬ সালের পহেলা মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে আন্দোলনে নেমেছিলেন শ্রমিকরা। পুলিশ শ্রমিক সমাবেশে গুলি চালালে রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ। যার ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয় শ্রমিকের অধিকার। পহেলা মে পরিণত হয় শ্রমিক অধিকারের প্রতীকী দিবসে।
পহেলা মে এলেই আলোচনায় আসে শ্রমিকের অধিকার বাস্তবায়ন প্রসঙ্গ। শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রেই শ্রমিকের অধিকার বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক খাতে। এছাড়া অর্জন যা ছিল, করোনা সংকটে তাও হারিয়ে যেতে বসেছে।
বিলস উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মেসবাউদ্দিন আহমেদ বলেন, এবার যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এটা সাংঘাতিকভাবে আচড়ে পড়েছে শ্রমিকের উপর। উপরন্তু এক বছর ধরে শ্রমিকের চাকরি নেই, বেতন নেই, মজুরী কমে গেছে।
বিলস উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য নাইমুল আহসান জুয়েল বলেন, ট্রেড ইউনিয়নের কাজটিই হলো চাকরি বাঁচাও। এর ফলে আমাদের ইউনিয়নের বা ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার বেতনভাতা, ইনক্রিমেন্ট চাওয়ার সুযোগ অনেক কমে গেছে।
বিলসের তথ্য বলছে, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা করোনা পরিস্থিতিতে কর্ম হারিয়েছে দশ লাখেরও বেশি শ্রমিক। আর সরকারের দেয়া প্রনোদনাও তাদের কাছে ঠিকভাবে পৌঁছানো যায়নি।
বিলস উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য নাইমুল আহসান জুয়েল বলেন, অনুদান বা প্রণোদনা যেটা, এটা শ্রমজীবী মানুষকেও দেওয়া হোক যারা চাকরি হারিয়েছে।
করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এ বছরও মে দিবসে কোন আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না, জানিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলো।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/ এসএ/
আরও পড়ুন