ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ছাত্রী নিবাস নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছে ওআইসি: মোমেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২১, ১১ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ০৮:২৩, ১১ জুলাই ২০২১

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) ক্যাম্পাসে ছাত্রী নিবাস নির্মাণে সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)।

শনিবার (১০ জুলাই) আইইউটি’র নবীণবরণ অনুষ্ঠানের ভাষণে তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস ওআইসি বিল্ডিং প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের জন্য তহবিলের ব্যবস্থা করে এই নতুন উদ্যোগের (নারী ছাত্রাবাস) সম্প্রসারণ এবং সাফল্যের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উৎসাহে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে এখানে ছাত্রীদের ভর্তি শুরু হয়। আইইউটি ক্রমাগত মানসম্পন্ন স্নাতক তৈরি করে তার মিশন পূরণের জন্য কাজ করছে। তাদের বেশিরভাগই এখন ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে কাজ করছে এবং মুসলিম উম্মাহর আর্থসামাজিক উন্নয়ন বৃদ্ধিতে সংযুক্ত রয়েছে।

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, ১৯৭৪ সালে ২য় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক অংশগ্রহণ বাংলাদেশকে বিশ্ব ইসলামিক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসে। যার ধারাবাহিকতায় কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশে ওআইসির সহায়ক অঙ্গ সংগঠন আইইউটি আত্মপ্রকাশ করে।

মোমেন বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) বিশ্বাস করতেন এই সংগঠনটি (ওআইসি) মুসলিম বিশ্বের সম্মিলিত কণ্ঠস্বর হওয়া উচিত এবং এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক শান্তি ও সম্প্রীতি বাড়াতে কাজ করবে।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার সময় আইইউটির মূল উদ্দেশ্য ছিল ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে, বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রকৌশল শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানবসম্পদ উন্নয়নে সহায়তা করা। 

শিক্ষার্থী ও যুব সম্প্রদায়কে পরিবর্তনের প্রতিনিধি হিসেবে অভিহিত করে ড. মোমেন নবীনদের জ্ঞান ও বিজ্ঞান অর্জনে এবং উম্মাহর গৌরবময় ভবিষ্যতের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্ব অনেক চ্যালেঞ্জের উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই পরিবর্তনের সঙ্গে বোঝাপড়ার জন্য প্রতিটি দেশের নিজস্ব উপায় রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ এবং পরিবর্তনের প্রতিনিধিদের বিকাশের মাধ্যমে এই পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়। এই ক্ষমতায়ন দক্ষতা, জ্ঞান ও প্রযুক্তি থেকে এসেছে। আইইউটি এ ক্ষেত্রে অবদান রাখছে এবং এর শিক্ষার্থীরা এর জন্য চেষ্টা করছে।
  
ইসলামের মহান পণ্ডিত ও বিজ্ঞানীরা অতীতে এটিই অনুসরণ করেছিলেন এবং মুসলিম উম্মাহকে একটি গৌরবময় ঐতিহ্য দিয়েছিলেন। তাই, ছাত্র ও যুবকরাই জ্ঞান ও বিজ্ঞানের অনুসরণের জন্য পরিবর্তনের প্রতিনিধি এবং উম্মাহর গৌরবময় ভবিষ্যতের জন্য কাজ করছে।

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিশ্ব এক অভূতপূর্ব সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে তাদের পড়াশুনা মনোযোগের সঙ্গে অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। যাতে সঠিক সময়ে তারা মানবতার সম্পদ হিসেবে এগিয়ে আসতে পারে।

অনুষ্ঠানে ওআইসির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল দূত আসকার মুসিনোভ, আইইউটি’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. ওমর জাহ উপস্থিত ছিলেন। 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি