ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:১২, ১৫ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১৭:১৩, ১৫ জুলাই ২০২১

Ekushey Television Ltd.

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকল নাগরিককে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। 

তিনি বলেন, “দেশের শিক্ষা কার্যক্রমকে পুনরায় গতিশীল করতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকল নাগরিককে ক্রমান্বয়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশ রয়েছে।’

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকালে মহাখালীস্থ বিসিপিএস ভবনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড-১৯ আইসিইউ বেড সম্প্রসারণ এবং আউট পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ওপিডি) এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল নাগরিককে ক্রমান্বয়ে টিকার আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর রয়েছেন। বর্তমানে সরকারের হাতে ৪৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে। এছাড়া, ১৪ জুলাই থেকেই ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়েছে। 

তিনি বলেন, চীন থেকে আগেই ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সরকার হাতে পেয়েছে। আরো দেড় কোটি ভ্যাকসিন প্রতি মাসেই দেশে আসতে থাকবে। এদের পাশাপাশি অ্যাস্ট্রেজেনেকার ২৯ লাখ ডোজ বরাদ্দ রয়েছে। দেশে যারা ১ম ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে ২য় ডোজের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন তারা এই অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন থেকে ২য় ডোজ নিতে পারবেন। এর পাশাপাশি ফাইজারের ভ্যাকসিনও আগামী মাসে আসবে। এই মুহূর্তে দেশে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন মজুদ রাখার সক্ষমতা স্বাস্থ্যখাতের হাতে রয়েছে। সুতরাং বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন এনে তা ভালোভাবে রেখে বন্টন করতে কোন সমস্যা হবে না।

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় নতুন করে আরো ২০০০ চিকিৎসক ও ৪০০০ নার্স নিয়োগের কাজ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কাজও চলমান রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ঢাকা মেডিকেলে নতুন করে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ১৩টি আইসিইউ বেড, ১টি ডায়ালাইসিস সেন্টার ও ৪টি ভেন্টিলেটর স্থাপন বড় ভূমিকা রাখবে বলে জানান জাহিদ মালেক। 

স্বাস্থ্যখাতের সমালোচনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সমালোচনা হওয়া উচিৎ যারা স্বাস্থ্যখাত নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তি করে তাদেরকে নিয়ে, যারা মুখে মাস্ক পড়ে না তাদেরকে নিয়ে। দেশে এখন খাদ্যের কোন অভাব নেই, শিল্প বন্ধ হয়নি, স্বাস্থ্যসেবা চলমান রয়েছে তাহলে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে কেন এত চক্রান্ত? এই চক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর অর্জনকে ম্লান করার ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না। পরে, ঢাকা মেডিকেলের ৪টি ভ্যান্টিলেটর উপহার হিসেবে প্রদান করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ মাসুদ রানা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক (ডাঃ) কাজী দ্বীন মোহাম্মদ প্রমূখ।
 
এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি