ঢাকা, সোমবার   ০৭ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশের আশায় সাগরে জেলেরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৩, ২৪ জুলাই ২০২১

Ekushey Television Ltd.

শেষ হয়েছে সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা। ২৩ জুলাই রাত ১২টায় এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নতুন আশায় গভীর সমুদ্রে ইলিশ শিকারে গেছেন জেলেরা। 

নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় ইতিমধ্যে বরিশালের উপকূলীয় জেলেপল্লি ও মৎস্য বন্দরগুলো সরগরম হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় ও জেলে সূত্রে জানা গেছে, সামুদ্রিক মাছের বাধাহীন প্রজনন ও সংরক্ষণে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মত্স্য আহরণে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মত্স্য বিভাগ। দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার পর সমুদ্রে নামার আগে তাই জেলেদের চোখে-মুখে নতুন আশা—জালে ধরা পড়বে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। ফের প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠবে মৎস্যবন্দর আলীপুর মহিপুরের আড়তগুলোসহ বরিশালের পাইকারি পোর্ট রোডের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র।

তবে মৌসুমের শেষ ভাগে বিনিয়োগে ঝুঁকি নিতে নারাজ অনেকেই। বরগুনার মহিপুরের একাধিক জেলে, ট্রলার মালিক, আড়তদার, দাদনদার ও বরফকল মালিকরা জানান, প্রতি মৌসুমে তারা লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন লাভের আশায়। কিন্তু করোনাসহ মৌসুমের শেষভাগে বিপুল টাকা বিনিয়োগে অনেকেরই অনীহা। এছাড়াও মাত্র দুই মাস পর অক্টোবরে ফের মা-ইলিশের ২২ দিনের জন্য সাগর এবং নদীতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

জেলেরা জানান, মাঝারি কিংবা বড় সাইজের ট্রলার নিয়ে সাগরে নামতে খরচ হয়ে থাকে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। এবার ৬৫ দিন বেকার থাকায় পুঁজি শেষ করে ধার-দেনায় জর্জরিত তারা। পাশাপাশি আড়তদার কিংবা দাদনদাররাও খুব একটা ঝুঁকি নিতে রাজি নন। 

বরফকল মালিকরা জানিয়েছেন, বছরের পুরোটাই তাদের টেকনিশিয়ানসহ শ্রমিকদের বেকার বসিয়ে টাকা গুনতে হয়। মৌসুমের চার মাসে তারা আয় করে তা পুষিয়ে নিয়ে থাকেন। কিন্তু ভরা মৌসুমে দুই মাসেরও বেশি সময় নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনেকেই বরফকল চালু করতে চাচ্ছেন না।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি