‘পরীমণিসহ মডেলদের বাসায় যাতায়তকারী কারো তালিকা হচ্ছে না’
প্রকাশিত : ১৭:০৫, ১০ আগস্ট ২০২১
চিত্র নায়িকা পরীমণিসহ কথিত মডেলদের বাসায় যাতায়তকারী কোন ব্যক্তি বা ব্যবসায়ীর তালিকা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। এ ব্যাপারে কাউকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ কাজ করছে না বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) ডিএমপি কমিশনার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পরীমণি ইস্যুতে কোনো ব্যবসায়ীর সাথে সম্পর্ক বা প্রতারণা নিয়ে কোনো পক্ষেরই অভিযোগ নেই। তাই কোনো তালিকা করারও সুযোগ নেই। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতারকৃত কথিত মডেলদের সঙ্গে সমাজের বিশিষ্টজনের নাম জড়িয়ে একটি চক্র চাঁদাবাজি করছে এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, পরীমণি, ফারিয়া মাহবুব ও মরিয়মের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যক্তির ছবি বা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একটি গ্রুপ চাঁদাবাজি করছে বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘চিত্রনায়িকা পরীমণি, ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌর বাসায় যাতায়াত ছিল এমন ব্যবসায়ী বা ব্যক্তিদের কোনো তালিকা করা হচ্ছে না। মডেল ইস্যুতে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন ব্যক্তিদের তালিকার কথা বলে একটি চক্র চাঁদাবাজিতে নেমেছে। এই চক্রটি সমাজের বিশিষ্টজনদের কাছে ফোন করে তালিকায় তাদের নাম থাকার কথা বলে চাঁদা দাবি করছে। এখন পর্যন্ত তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এই ধরনের চাঁদাবাজির শিকার হওয়ার কথা পুলিশকে জানিয়েছে। ভূক্তভোগির অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ব্যাপারে দায়ের করা মামলাগুলো পুলিশের অপরাধ বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে। আমি সিআইডি প্রধানের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি। তিনি আমাকে পরিস্কার জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে কোন তালিকা তৈরি বা কাউকে গ্রেফতারের আইনগত কোন ভিত্তি নেই। এ ধরনের তালিকা তৈরিতে পুলিশ বা কোন সংস্থা কাজ করছে না বলেও জানান তিনি।’
পরীমণির সঙ্গে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান বিভাগের সাবেক এডিসি গোলাম সাকলায়েনের সম্পর্কের ঘটনায় পুলিশ বাহিনী বিব্রত বলে জানিয়েছে ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, সাকলায়েনের বিষয়টি তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরআগে পরীমণির সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এডিসি গোলাম সাকলায়েনকে। তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসির পদ থেকে সরিয়ে মিরপুরের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা সাকলায়েন পরীমণির কোনো মামলা তদারকির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন না। কাজেই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে বাহিনীর শৃংখলা ও নৈতিকতা ভঙ্গের কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
এসি
আরও পড়ুন