আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ২১:৫০, ১৬ আগস্ট ২০২১
বাংলাদেশ আফগানিস্তানের দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং মনে করছে যে, এই ঘটনা এ অঞ্চলে এবং এর বাইরেও প্রভাব ফেলতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে আজ রোববার বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত গণতান্ত্রিক ও বহুত্ববাদী আফগানিস্তান হচ্ছে দেশটিতে স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের একমাত্র গ্যারান্টি।
বাংলাদেশ আফগানিস্তানে বিদেশী নাগরিকসহ সবার নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য দেশটির সকল অংশীজনদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, আফগানিস্তানের জনগণকেই তাদের দেশ পুনর্গঠন এবং ভবিষ্যতের গতিপথ তাদের নিজেদেরই নির্ধারণ করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, আমরা আফগানিস্তানকে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের মাঝে একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ, দায়িত্বশীল এবং অবদানকারী সদস্য হিসাবে দেখতে চাই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আফগানিস্তানের জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে পেরে বাংলাদেশ খুশি। বিবৃতিতে বলা হয়, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য এই অঞ্চলে একসঙ্গে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নীতি বাস্তবায়নে আফগানিস্তানের সঙ্গে কাজ করতে ঢাকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ বিষয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নিজেকে আফগানিস্তানের সম্ভাব্য উন্নয়ন অংশীদার এবং বন্ধু বলে মনে করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আমরা আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা, কমিউনিটি হেলথকেয়ার, স্যানিটেশন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং আইসিটি-র মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সেরা অনুশীলনগুলো ভাগ করে নিতে প্রস্তুত।
গত বিশ বছর ধরে আফগানিস্তানে কর্মরত বাংলাদেশী এনজিওগুলোর সফল প্রসার সেই দক্ষতা প্রদর্শন করেছে।
আফগানিন্তান সার্কের সহযোগী সদস্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক যোগসূত্র রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আফগানিস্তানের সরকার ও জনগণ বাংলাদেশে যে অমূল্য সহায়তা দিয়েছিল, বাংলাদেশ তা স্মরণ করে।
এসি
আরও পড়ুন