ঢাকা, শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশে কর্মরত রাষ্ট্রদূতরা  

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৩৭, ২৯ আগস্ট ২০২১

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ এর ২১ আগস্ট স্মরণে ‘দ্য রিপল ইফেক্টস অব ব্লাডি আগস্ট ইন দ্য হিস্ট্রি অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে শনিবার (২৮ আগস্ট) রাতে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত একটি ওয়েবিনারে এ শ্রদ্ধা জানান তারা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক সাব কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন এমপি। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জমির ও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ।

স্বাগত বক্তব্যে ড. শাম্মী আহমেদ বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ একটি প্রগতিশীল নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিজের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অকাল মৃত্যুতে তা চরম বাধাগ্রস্ত হয়। এই হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জয়লাভ করে ক্ষমতা তুলে দেয় সামরিক স্বৈরশাসকদের কাছে। তারা দেশকে স্থবির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির করে গড়ে তোলে। এছাড়া পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত এসে ধর্মীয় চরমপন্থার জন্ম দেয়। সেই গোষ্ঠীই সামনে থেকে ২১শে আগস্টে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার চেষ্টা চালায়।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন ১৯৭০ সালের নির্বাচনের প্রাসঙ্গিকতার কথা উল্লেখ করে এতে জাতির পিতার নেতৃত্বের দিকগুলো তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের অগ্রযাত্রা সামগ্রিকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন কিভাবে এগিয়েছে সে বিষয়েও আলোচনা করেন তিনি।

ওয়েবিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসাধারণ সাহসিকতার একজন নেতা। নতুন একটি দেশে জনগণের কল্যানের সংবিধান উপহার দেয়া ও একটি দেশকে কীভাবে প্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তার বাস্তব রূপরেখা করে দিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই পথে এগিয়ে যেতে যেসব বাধা রয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে যোগ্য নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, বঙ্গবন্ধু সত্যিকার অর্থে জনগণের কণ্ঠের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং স্বাধীনতার অর্থকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। দেশকে এগিয়ে নিতে তিনি সবসময় নতুন উপায় খুঁজতেন। সেভাবে কার্যক্রম চালাতেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বংশ শেষ করে দিতে তার ১০ বছরের সন্তানকেও হত্যা করেছিল বর্বররা। তবে বঙ্গবন্ধুর নাম তারা মিশিয়ে দিতে পারেনি। বরং বিশ্বব্যাপী সম্মানের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নাম স্মরণ করা হয়।

বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশীধর বলেন, নেপালের জনগণ বাংলাদেশের মানুষের সাথে আবেগগতভাবে সংযুক্ত। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি নেপালের জনগণের পাশে থাকার জন্য বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াটা বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে গিয়ে ১৯৭৫ এর আগস্টের বর্বরতায় হতবাক হয়েছিলাম আমি।

শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার সুদর্শন ডি.এস. বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জোয়াও তাবাজারা দে অলিভেইরা জুনিয়র বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে তাঁর আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গি টিকে আছে। ওয়েবিনারে চীন, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, ভিয়েতনাম, নেপাল এবং ডিপিআর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং ভারত, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, নেপালের হাইকমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া অন্যদের মধ্যে, যুক্তরাজ্যের মিশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, নরওয়ে এবং মালদ্বীপের কূটনৈতিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
(সূত্র-বাসস)
কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি