ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

যৌথভাবে কপ-২৬ অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তাব পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:১২, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

কপ-২৬-এর প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশসহ সবচেয়ে বেশি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে জলবায়ু সহযোগিতা জোরদার করতে আসন্ন কপ ২৬-এর পাশাপাশি সিভিএফ-কপ ২৬ অনুষ্ঠান যৌথভাবে আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার লন্ডনের ৯ ডাউনিং স্ট্রিটে কপ২৬-এর মনোনীত প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাকালে ড. মোমেন এই প্রস্তাব দেন। আজ প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।         

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নভেম্বরের শুরুতে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য কপ ২৬ কে লক্ষ্য করে যৌথ অনুষ্ঠান আয়োজন সম্পর্কে আলোচনাকালে দূরদর্শী নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জলবায়ু ভালনেরাবল ফোরামে (সিভিএফ) বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

ড. মোমেন বিশেষ করে সবুজ প্রযুক্তি হস্তান্তর, সবুজ বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও নদীভাঙ্গন থেকে লোকজনকে রক্ষা করার জন্য বেড়িবাঁধ নির্মাণের মতো জলবায়ু প্রশমন প্রকল্পকে সহায়তা করার ক্ষেত্রেও যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক জলবায়ু সম্পর্ক সম্প্রসারণের প্রস্তাব করেন ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশেষ করে বাংলাদেশের সভাপতিত্বে প্রস্তাবিত সিভিএফ-কপ ২৬ লিডার্স সামিটের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং বাংলাদেশের জন্য কপ ২৬ এজেন্ডা সম্পর্কে শর্মাকে অবহিত করেন। গত জুন মাসে বাংলাদেশ সফরের জন্য কপ-২৬ এর মনোনীত সভাপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মোমেন জুলাইয়ে কপ ২৬ মন্ত্রীপর্যায়ের সফল আয়োজনের জন্য তাকে অভিনন্দন জানান।

শর্মা সবুজ অর্থায়ন ও বিনিয়োগ প্রসারে সহযোগিতা এবং পরিচ্ছন্ন ও সবুজ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে প্রযুক্তি হস্তান্তরসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের জলবায়ু উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশকে অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম এবং প্রতিনিধিদলের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেন।   

পরে ড. মোমেন যুক্তরাজ্যের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক চ্যাথাম হাউসে ‘সিভিএফ-কপ২৬ জলবায়ু সংহতি তৈরি’ শিরোনামে জলবায়ু উপর একটি বক্তৃতা প্রদান করেন এবং জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বৈশ্বিক সংহতি এবং রাজনৈতিক অঙ্গীকারের আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম কার্বন তৈরীর পথ অনুসরণ করছেন যদিও বাংলাদেশ একটি সর্বনিম্ন নির্গমনকারী দেশ।

তিনি ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা দশক ২০৩০’ এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরূপ প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।     

ড. মোমেন বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে এবং তাদেরকে নিজেদের দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের আহ্বান জানান। বাংলাদেশ হাইকমিশন ও চ্যাথাম হাউসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সংলাপে স্বাগত বক্তব্য দেন হাইকমিশনার তাসনিম।

এই আলোচনায় মালদ্বীপের স্পিকার এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং সিভিএফ-এর এম্বিসন বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত মোহামেদ নাশিদসহ বেশ কয়েকজন সিভিএফ রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনার এবং জলবায়ু বিশেষজ্ঞরাও উপস্থিত ছিলেন।

চাথাম হাউসের সভাপতি বার্নিস লি অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন। এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশী যোগ দেন।- বাসস

এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি