রাজউকে নকশা অনুমোদনের প্রক্রিয়া এখন অনলাইনে
প্রকাশিত : ২০:৩০, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
ভবনের নকশা অনুমোদন থেকে শুরু করে ব্যবহারের সনদ দেওয়া পর্যন্ত সব প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করতে ইলেকট্রনিক কনস্ট্রাকশন পারমিটিং সিস্টেম-ইসিপিএস চালু করেছে রাজউক।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এ পদ্ধতির উদ্বোধন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
ইসিপি সিস্টেম উদ্বোধনকালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, ‘রাজধানীতে নতুন কোনো ভবন নির্মাণের অনুমতি দিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। তবে এতে করে অনেক ক্ষেত্রে সেবা দিতে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা যায়, যা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করে। এ ভোগান্তি লাঘবের লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক কনস্ট্রাকশন পারমিটিং সিস্টেম (ইসিপিএস) প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। এ সিস্টেমে ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া আবেদন থেকে শুরু করে সলভেন্সি সার্টিফিকেট পাওয়া পর্যন্ত সব কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন হবে। আবেদনকারী ঘরে বসেই সেবা পাওয়ার সুযোগ পাবে।’
এ সময় অনলাইন সেবার ওয়েবসাইট উদ্বোধন ও এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। অনলাইনে রাজউকের এ সেবাটি পাওয়া যাবে http://www.uru.gov.bd/ ওয়েবসাইট থেকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শরীফ আহমেদ আরো বলেন, স্বল্পতম সময়ে সব নির্মাণ কাজের সুষ্ঠু সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদেশি সংস্থার পরামর্শে এবং দক্ষ জনবল নিয়ে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এ সিস্টেমের উন্নয়ন করা হয়েছে। এ সিস্টেম চালু হলে ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া আবেদন থেকে শুরু করে সলভেন্সি সার্টিফিকেট পাওয়া পর্যন্ত সব কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন হবে। আবেদনকারী ঘরে বসেই সেবা পাওয়ার সুযোগ পাবে। নির্দিষ্ট সময়ে অনলাইনের মাধ্যমেই ল্যান্ড ক্লিয়ারেন্স ও কনস্ট্রাকশন পারমিট পাওয়া সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, আবেদনকারীকে তার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে না। ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমেই তিনি সব তথ্য জানতে পারবেন। বিভিন্ন সার্ভিস ফি নিজের সুবিধাজনক সময়ে যেকোনো স্থান থেকে তিনি জমা দিতে পারবেন। এছাড়া অর্থ পরিশোধের মাধ্যম হিসেবে ব্যাংকিং সিস্টেমসহ মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমও এখানে সংযুক্ত থাকবে। আর নকশা ও অনুমোদনের ক্ষেত্রে এ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব পক্ষই একসঙ্গে এক প্ল্যাটফর্ম থেকে সেবা দেবে।
অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন ও বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শিবলু। ‘আরবান রেজিলিয়েন্স’ শীর্ষক এ প্রকল্পটিতে রাজউক অংশে অর্থায়ন করেছে বিশ্ব ব্যাংক। এর কার্যক্রম পরিচালিত হবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে।
অনুষ্ঠানে এ সময় বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাসহ প্রকল্প পরিচালক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, কর্মকর্তা, বিভিন্ন স্থপতি, প্রকৌশলী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
তারা বলেন, ঢাকাকে একটি পরিবেশবান্ধব শহর করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে রাজউক। সেখানে এটি একটি নতুন দিক। সঠিক সময়ে অনলাইনের মাধ্যমেই এখন থেকে এ সেবা মিলবে। তবে দক্ষ জনবলের অভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন যেন থেমে না যায় সেটিই প্রত্যাশা।
ইসিপিএস বর্তমানে পাইলটিং করার লক্ষ্যে রাজউকের জোন-৩, সাবজোন-২ (গুলশান, মিরপুর, সাভার, টঙ্গী) ও জোন-৪, সাবজোন-২, গুলশান এলাকায় প্রাথমিকভাবে চালু করা হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে জোন-৬, সাবজোন-২ এ চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে রাজউকের সব জোন ও সাবজোনে সিস্টেমটি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানানো হয় আয়োজনে।
এসি
আরও পড়ুন