‘দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধিতে ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে’
প্রকাশিত : ২০:১৯, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের নবনির্মিত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন,“দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধির জন্য শেখ হাসিনা সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে। ইলিশ নিয়ে গবেষণার জন্য গবেষণা কেন্দ্র করা হয়েছে। দেশের যে প্রান্তে ইলিশ কমে যাচ্ছে সে প্রান্তে উৎপাদন যাতে বাড়ানো যায়, ইলিশ যাতে নির্বিঘ্নে প্রজনন করতে পারে, এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা হয়েছে। যে সব নদীতে ইলিশ ছিল, কিন্তু এখন নেই সেখানে ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।"
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন,“মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অভয়াশ্রম করা হচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত মৎস্য আহরণ বন্ধ করার জন্য যেসব এলাকায় নজর দেয়া দরকার, সে সব এলাকায় নজর দেয়া হচ্ছে। নদীর গভীরতা যাতে নষ্ট না হয়, নদীর গতি-প্রকৃতি যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে বিষয়ে আমরা খেয়াল রাখছি। নদীর নাব্যতার কারণে মৎস্যসম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নজরে আনা হবে।"
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, "মৎস্যজীবী নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া মৎস্যজীবীদের তালিকা হালনাগাদ করা চলমান রয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে মৎস্যজীবীদের নিবন্ধন হালনাগাদ হয়ে যাবে। প্রকৃত মৎস্যজীবীরা এ তালিকার আওতায় আসবেন। মাছ ধরা বন্ধের সময় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ সহায়তার পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থানের উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে।"
মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলেও এ সময় আশ্বস্ত করেন তিনি। মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখার সময় পরিবর্তনের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে বলেও জানান তিনি। যারা সমুদ্রে মাছ আহরণে যাবেন তাদের আধুনিক প্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধা দেয়ার বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, "বাংলাদেশে মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে বাংলাদেশের নিকটবর্তী ভারতের নদী বা সমুদ্র এলাকায় একই সময়ে মৎস্য আহরণ বন্ধের বিষয়টি ভারতীয় হাইকমিশনারের সাথে বৈঠকে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।"
আগামী সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ সময় মন্ত্রী বলেন, "দেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে। আইন অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠান করে নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে। এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করা নিতান্তই মুর্খতা। কাজেই বিএনপি বা তাদের জোট যেটা দাবি করছে, এটা সংবিধান পরিপন্থী। সংবিধান পরিপন্থী কোন নির্বাচন বা কোন প্রক্রিয়া শেখ হাসিনা সরকার হতে দেবে না।"
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মোঃ তৌফিকুল আরিফ ও যুগ্ম সচিব মোঃ আব্দুল মতিন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসানহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের খেপুপাড়া নদী উপকেন্দ্রের অফিস কাম গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
এসি
আরও পড়ুন