ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০৭, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৬:৫৪, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে আধুনিক, বিজ্ঞানভিত্তিক ও উন্নত সমৃদ্ধ দেশের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও বাস্তবায়নে প্রশংসা বিশ্ব নেতাদের। শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র সমুন্নত ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখায় বিশ্বের বিভিন্ন ইনস্টিটিউট ও বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানিত করেছে শ্রদ্ধায়।

দীর্ঘ দুই দশকের অস্থিরতা পাহাড়ে।

১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই সেই পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে শেখ হাসিনার যোগ্যতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। হুপে বোয়ানি শান্তি পুরস্কার দেয় ইউনেস্কো। (১৯৯৯ সালে অ্যাওয়ার্ড হস্তান্তর)

ক্ষমতার ওই মেয়াদেই জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যুক্তরাজ্যের অ্যালবার্টা ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয় শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লিবারেল আর্টস এ ভূষিত করে ১৯৯৭ সালে।

যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় ও জাপানের ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদান করে সম্মানসূচক ডক্টর অব ল। ওই বছরই নেতাজী স্মৃতি পুরস্কার পান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৯৯ সালে পার্ল এস বাক অ্যাওয়ার্ড, মাদার তেরেসা পদক, এমকে গান্ধী পদক পান তিনি।

চতুর্থবারের মত ক্ষমতায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। অর্থনীতিসহ বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব রোল মডেল।

জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিশ্ব মোড়লরা ও বড় বড় সংস্থা ইউনেস্কো, ইউনিসেফ, এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল দেশগুলোও প্রশংসা করছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের। নানা সম্মাননা তাই শেখ হাসিনার ঝুলিতে।

গণতন্ত্র মানবাধিকার ও শান্তির পক্ষে অবদানে ২০০৫ সালে রাশিয়ার পিপলস ফ্রেন্ডস ইউনিভার্সিটি প্রদান করে সম্মানসুচক ডক্টরেট ডিগ্রি।

শন্তি নিরস্ত্রীকরণ এবং উন্নয়নে সংগ্রামের স্বীকৃতিস্বরুপ ২০০৯ এ পান ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পদক, ইন্দিরা গান্ধী স্বর্ণ পদক, হেড অব স্টেট পদক, ২০১১ ও ২০১২ সালে পান গ্লোবাল ডাইভার্সিটি অ্যাওয়ার্ড।

শিশু মৃত্যু কমিয়ে আনায় ২০১০ সালে জাতিসংঘ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল এমডিজি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন আইটিইউ সাউথ সাউথ নিউজ ও জাতিসংঘের আফ্রিকা সংক্রান্ত কমিশন যৌথভাবে স্বাস্থ্যখাতে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জনের জন্য সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড ২০১১ প্রদান করে।

সাংস্কৃতিক বৈচিত্র রক্ষা এবং কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ায় ইউনেস্কো কালচারাল ডাইভার্সিটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে ২০১২ সালে। একই বছর মেলে ইকুয়েটর পুরস্কার, ওয়াঙ্গেরি মাথাই পুরস্কার এবং আর্থ কেয়ার পুরস্কার।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র বিমোচনের জন্য ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন ফর সাউথ সাউথ কো অপারেশন সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড ২০১৩ পুরস্কার প্রদান করে।

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের জন্য ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত তথ্য প্রযুক্তি মেলায় সাউথ এশিয়া ও এশিয়া প্যাসিফিক ম্যানহাটন অ্যাওয়ার্ড পায় বাংলাদেশ।

নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনাকে শান্তিবৃক্ষ পুরস্কার প্রদান করে ইউনেস্কো। ২০১৪ সালেই ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় অগ্রগতি ও শিক্ষার প্রসারে সাউথ সাউথ কো অপারেশন ভিশনারি অ্যাওয়ার্ড লাভ করে বাংলাদেশ।

২০১৫ সালে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা এসডিজি অর্জনে শেখ হাসিনাকে প্রদান করা হয় আইসিটি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ বৈশ্বিক পুরস্কার চ্যাম্পিয়ান অব দ্য আর্থ লাভ করেন শেখ হাসিনা।

বিশ্ব নেতৃত্ব শেখ হাসিনাকে আজ বলছেন স্টার অব ইস্ট। তিনি শুধু রাষ্ট্রনায়কই নন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে যে মানবিক হতে হয় সেটাও তিনি দেখিয়েছেন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে।

মিয়ানমারের নির্যাতিত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক প্রশংসিত হন শেখ হাসিনা। মানবতার মহৎ গুনে ভুষিত হন মাদার অব হিউম্যানিটি মানবতার মা উপাধিতে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে দুরদর্শী নেতৃত্ব এবং মানবিকতার জন্য দেয়া হয় আইপিএস ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড।

২০১৮ সালে নারী নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে গ্লোবাল উইমেনস লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড পান। ২০১৯ সালে নারীর ক্ষমতায়ন, শিশুদের জন্য তহবিল গঠনসহ বিভিন্ন অবদানে সাতটি পুরস্কার পান প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটি ঠাকুর শান্তি পুরস্কার ২০১৮,  ড. কামাল স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড, ছিল অন্যতম। সমন্বিত টিকাদান কর্মসূচিতে সফলাতার জন্য ভুষিত হন ভ্যাকসিন হিরো সম্মাননায়।

মাহমারিকালেও করোনার ভয়াবহতা রুখে দিয়ে বিশ্ব সভাকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক করোনার টিকা আসছে বাংলাদেশে। বিশ্ব নেতৃত্ব তাই বাংলাদেশকে দেখে সম্মানের চোখে।

দেখুন ভিডিও

এসবি/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি