ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর কারণ স্ট্রোক 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৫, ২৯ অক্টোবর ২০২১

প্রতিবছর সারাবিশ্বে এক কোটি ৩৭ লাখেরও বেশি মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের স্ট্রোকের সম্ভাবনা ২ থেকে ৪ গুণ বেশি। আর এই রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্য সময়ও পাওয়ার যায় খুবই কম। তাই স্ট্রোকের লক্ষণ নিশ্চিত হলেই দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে রোগীকে। তাহলেই মৃত্যুঝুঁকি কমানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। 

স্ট্রোক মস্তিস্কের এক ভয়াবহ রোগ। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, বছরে বিশ্বে প্রায় ১ কোটি ৩৭ লাখেরও বেশি মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে মৃত্যু হার ৬০ শতাংশ। যারা বেঁচে থাকেন তারা দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভোগেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই ধরণের স্ট্রোক হয়ে থাকে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে চর্বি, কায়িক পরিশ্রম না করা, মদ্যপান ও ধূমপানসহ নানা কারণেই স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। 

বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনের প্রেসিডেন্ট  অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, “একশ জনের মধ্যে ৮৫ জনই মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে স্ট্রোক করেন। আর বাকি ১৫ জনের ক্ষেত্রে  রক্তনালী ছিড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। রক্তক্ষরণ হলে হঠাৎ তীব্র মাথা ব্যাথা এবং বমি হয়। আর রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যে স্ট্রোক হয় তাতে কথা বলার জড়তা সৃষ্টি হতে পারে, শরীর অবশ হয়ে যেতে পারে এবং মুখ বাঁকা হয়ে যেতে পারে। “  

স্ট্রোকের পর রোগীর মস্তিষ্কে কোষগুলো প্রতি মিনিটে ১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। তাই যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

“ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, স্ট্রোকের লক্ষণ গুলো খেয়াল রাখতে হবে, যে কোনও লক্ষণ দেখা গেলেই সঙ্গে সঙ্গে নিউরোলজিস্ট অথবা নিউরোসার্জনের পরামর্শ নিতে হবে।“

দেশে স্ট্রোকের চিকিৎসা সেবার পরিধি বাড়লেও এখনো পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি