ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ফটো সাংবাদিক কাজলের বিচার শুরুর আদেশ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৫৯, ৮ নভেম্বর ২০২১

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তিন মামলায় ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন  তিন মামলায় কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলা তিনটি রাজধানীর শেরেবাংলা  নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানা দায়ের করা হয়েছিল।

এই তিন মামলা থেকে কাজলের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। শুনানিতে তিনি বলেন, কাজল একজন ফটোসাংবাদিক, তিনি ‘ষড়যন্ত্রের শিকার’।‘ন্যায় পাওয়ার স্বার্থে’ তাকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে নজরুল ইসলাম শামীম অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে কাজলের বিচার শুরুর আবেদন করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে কাঠগড়ায় দঁড়ানো কাজলকে অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়- তিনি দোষী না নির্দোষ। কাজল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। পরে আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।

যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার ওয়েস্টিন হোটেলকেন্দ্রিক কারবারে ‘জড়িতদের’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে গত বছরের ৯ মার্চ মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা  নগর থানায় প্রথম মামলাটি দায়ের করেন মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি সাইফুজ্জামান শিখর।

একই ঘটনায় পরদিন হাজারীবাগ থানায় মামলা করেন ওসমান আরা বেলী এবং ১১ মার্চ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আরেক সদস্য সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা কামরাঙ্গীরচর থানায় অপর মামলা দুটি দায়ের করেন। পরে তিন মামলাতেই কেবল কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

এক সময় দৈনিক সমকাল ও বণিক বার্তায় ফটো সাংবাদিক হিসেবে কাজ করা কাজল ‘পক্ষকাল’ নামের একটি পাক্ষিক পত্রিকা সম্পাদনা করছিলেন। মামলা হওয়ার পরদিন ১০ মার্চ বকশিবাজারের বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।

পরে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অপহরণ মামলা করা হয়। এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে লেখালেখির কারণে অজ্ঞাতনামা কেউ তাকে ‘অপহরণ’ করেছে।

প্রায় দুই মাস পর গত বছরের ২ মে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে কাজলকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় বিজিবি। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়।

যশোর থেকে ঢাকায় আনার পর গতবছরের জুন মাসে কাজলকে ঢাকায় এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে নভেম্বর মাসে তিনি হাই কোর্ট থেকে জামিন পান। সাত মাস কারাগারে থাকার পর ২৫ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান কাজল।

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি