সমাবেশে জাতীয় যুব নেতৃবৃন্দ
পাকিস্তানি পতাকা প্রদর্শন ও জার্সি পরিধান রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল
প্রকাশিত : ১৯:৫১, ২৪ নভেম্বর ২০২১
নিজদেশের গ্যালারিতে পাকিস্তানি পতাকা প্রদর্শন ও জার্সি পরিধান রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষায় পাকিস্তানি ভাবাদর্শের ধারক-বাহকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় যুব নেতৃবৃন্দ।
অতি সম্প্রতি ঢাকায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-২০ ক্রিকেট সিরিজের খেলা চলাকালীন পাকিস্তানি পতাকা ও জার্সি গায়ে দর্শক গ্যালারীতে, পাকিস্তানি ভাবাদর্শে লালিত ভাড়াটে দর্শক পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা উড়ায় এবং জার্সি গায়ে দিয়ে প্রদর্শন করে। যা কোনো ভাবেই বরদাশত করা যায় না। ক্রিকেট মাঠে সমর্থনের নামে পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের পতাকা উড়ানো ও জার্সি পরিধান পরিকল্পিত ষড়ষন্ত্র ও রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি।
পাকিস্তানি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আজ (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনের সভাপতি সাব্বাহ আলী খান কলিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন সভাপতি হাফিজ আদনান রিয়াদ, জাতীয় যুব জোট সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, বাংলাদেশ যুব আন্দোলন সহ-সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সৈকত, জাতীয় যুব ঐক্য সভাপতি খায়রুল আলম, বাংলাদেশে যুব মৈত্রীর সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক, কায়সার আলম। সঞ্চালনা করেন যুব মৈত্রীর সহ-সাধারণ সম্পাদক তাপস দাস।
নেতৃবৃন্দ বলেন, পাকিস্থানি খেলোয়াড়রা অনুশীলনের সময় ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তস্নাত বাংলার মাটিতে পতাকা পুততে পারে না। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান নিঃশর্ত ক্ষমা চায়নি, আমাদের লুন্ঠিত সম্পদ ফেরত দেয়নি। ’৭১ সালে এরা পরাজিত হলেও এখনো দেশে ওদের প্রেত্মারা সক্রিয় ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
তারা বলেন, পুরো ঘটনায় বিসিবি ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী দায় এড়াতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী ক্ষোভ জানিয়ে একটা বিবৃতিও দেননি। পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের খেলোয়াড়দের আমার দেশের মাটিতে পতাকা পুতে অনুশীলন ও আমাদের খেলোয়াদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনারকে তলব করে জোরালো প্রতিবাদ জানানো উচিত ছিলো। ভাড়াটে দর্শক যারা সেইদিন গ্যালারিতে পাকিস্তনি পতাকা উড়ানো এবং জার্সি গায়ে প্রদর্শন করলো, তারা অবশ্যই রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধে অপরাধী। এখনো পর্যন্ত সেই দর্শকদের কাউকেই গ্রেফতার ও বিচারে আওতায় আনা হয় নি যা অত্যান্ত দুঃখজনক।
নেতৃবন্দ আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাসীন, মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুর্বণ জয়ন্তি চলমান। সেই সময় এই জাতীয় পাকিস্তানি অপতৎপরতা জাতিকে হতাশ করেছে। নেতৃবৃন্দ আরোও বলেন, পাকিস্তানি ভাবাদর্শ প্রতিষ্ঠায় দেশের মধ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে বিচারের আওতার আনতে হবে এবং পাকপ্রেমীদের বিরুদ্ধে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে জাতিকে সাথে নিয়ে প্রতিবাদ-প্রতিরোধের লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে।
কর্মসূচির শেষে পাকপ্রেমি ও ষড়যন্ত্রকারীদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও ধৃষ্টতার প্রতিবাদে পাকিস্তানের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন স্বরূপ জাতীয় যুব নেতৃবৃন্দ ও যুব মৈত্রীর কর্মীদের উপস্থিতিতে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকায় অগ্নিসংযোগ করা হয়।
আরকে//
আরও পড়ুন